দীর্ঘ টালবানার পর অবশেষে নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করে বিজেপি। সোমবার বিজেপির ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদী দুজনেই।
বিজেপি ইস্তেহার প্রকাশ করার পর বিরোধীরা তীব্র আক্রমণ করেন ইস্তেহারে উল্লেখিত নানা বিষয়কে নিয়ে। কাশ্মীর নিয়ে উল্লেখিত বিষয়গুলিকে তুলে ধরে বিজেপির ইস্তেহারের তীব্র সমালোচনা করেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমার আবদুল্লাহ। তিনি জম্মু কাশ্মীরের রাজ্যপালকে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন যে রাজ্যপাল বলেছিলেন ধারা ৩৭০ এবং ৩৫ – এ সুরক্ষিত এবং তাদের মত কিছু দল ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি করছে নির্বাচনের আগে। ওমার আবদুল্লাহ বলেন যে বিজেপির বন্ধুরা যেন তাকে একটা ইস্তেহারের কপি পাঠিয়ে দেয়।
বিজেপিকে আক্রমণ করেন আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি টুইট করে বলেন নতুন জুমলা নিয়ে হাজির হয়েছে বিজেপি ২০১৪ জুমলা গুলির ভাগ্য কী তা স্পষ্ট না করেই। তিনি অভিযোগ করেন মোদী এবং শাহের সাহস নেই বলার বিমুদ্রাকরণ কেন করা হয়েছিল। তিনি প্রশ্ন করেন ২ কোটি চাকরির কী হল? তিনি জানতে চান কৃষকদের ধ্বংসের পথে কেন ঠেলে দেওয়া হল।
কংগ্রেসে নেতা আহমেদ প্যাটেল টুইট করে সমালোচনা করেন বিজেপির ইস্তেহারের। তিনি বলেন বিজেপি ২০১৯ ইস্তেহারের জন্যে ২০১৪ ইস্তেহার থেকে কপি পেস্ট করে দিয়েছে এবং সমস্ত কিছুর সময়সীমা ২০১৯ থেকে বাড়িয়ে ২০২২,২০৩২,২০৪৭,২০৯৭ করে দেওয়া হয়েছে।
কংগ্রেস নেতা রাজীব গৌড়া বলেন একাধিক অসঙ্গতি আছে অর্থনৈতিক প্রতিশ্রুতি গুলির বিষয় বিজেপির ইস্তেহারে। তিনি বলেন একবার তারা বলেছেন কর কমিয়ে দেওয়ার কথা তারপর আবার বলেছেন কর বাড়ানোর কথা।
কংগ্রেস মুখপাত্র আরএস সূর্যেওয়ালা বলেন বিজেপি ২০১৪ সালে বিজেপি ২ কোটি চাকরির কথা বলেছিল কিন্তু বর্তমানে দেশে বেকারত্বের হার সর্বোচ্চ বিগত ৪৫ বছরের মধ্যে।