ভোটের আগে এক নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিল ফেসবুক। রাজনীতি নিয়ে ফেসবুকে কোনো কনটেন্ট লেখা হলে সোজা ইউজারের বাড়ি গিয়ে তা খতিয়ে দেখছেন ফেসবুক সংস্থার আধিকারিকরা। বাস্তবেই হচ্ছে এমনটা। কিন্তু কার নির্দেশে এমনটা করা হচ্ছে? প্রশ্ন উঠছে, মোদী সরকারের নির্দেশেই এমনটা করা হচ্ছে না তো? গেরুয়া শিবিরের নির্দেশেই কি ‘অতি সক্রিয়’ ফেসবুক?
সম্প্রতি ফেসবুকের এগজিকিউটিভ দিল্লীর এক ফেসবুক ইউজারের বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন। সেই ব্যক্তি আইএএনএস-কে জানিয়েছেন, “দেখে মনে হচ্ছিল পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের জন্য বাড়িতে পুলিশ এসেছে। ফেসবুকে যে রাজনৈতিক লেখাটি আমার অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছে, সেই ব্যক্তি আমিই কি না, তা খতিয়ে দেখতে আমার আধার ও অন্যান্য তথ্য দেখতে চাইলেন ফেসবুকের প্রতিনিধি”।
এ ব্যাপারে ফেসবুকের কী প্রতিক্রিয়া, তা জানতে আইএএনএস তাদের দুটি ই-মেল পাঠালেও তার কোনও জবাব আসেনি। দেশের শীর্ষ সাইবার আইন বিশেষজ্ঞ তথা সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট পবন দুগ্গল বলেছেন, “এই কাজ নিঃসন্দেহে ইউজারের গোপনীয়তায় আঘাত। নির্দিষ্ট আইনবলে শুধুমাত্র রাষ্ট্র এটা করতে পারে”। যদিও আইনি বিশেষজ্ঞ-সহ অনেকেরই মত, এই কাজের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে শাস্তি দেওয়া উচিত।
কেবলমাত্র একটা পোস্টের উপরে ভিত্তি করে ফেসবুকের আধিকারিক তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছেন এটা জানার জন্য যে, সেই ব্যক্তি উনিই কিনা! এতে তাজ্জব হয়ে গেছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ফেসবুক ইউজার। তাঁর প্রশ্ন, “এটা খুবই দুঃখজনক। একজন ইউজারের সঙ্গে কীভাবে এটা করতে পারে একটা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম?” যদি এমনতাই চলতে থাকে তবে ফেসবুকে ইউজারের গোপনীয়তা কিভাবে রক্ষা করা যাবে? বিজেপি সরকারের নির্দেশেই কি এমনটা করা হচ্ছে এ বিষয় নিয়ে সন্দেহ আছে। কারণ এমন বিরলতম উদাহরণ তো এর আগে পাওয়া যায় নি।