সারাবছরই বিতর্ক জারি থাকে বিজেপিকে নিয়ে৷ ভোটের আবহেও বজায় থাকল সেই ধারা৷ গোয়ালাপাড়া ডিটেনশন শিবিরে এক বাঙালির মৃত্যুকে নিয়ে বড় ধাক্কা খেল মোদী সরকার৷
বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভোটার তালিকায় নাম, সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও বরপেটা রোডের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অমৃত দাসকে ২০১৭ সালে বিদেশি হিসেবে ঘোষণা করে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল। সে বছর ২০ মে থেকে তিনি গোয়ালপাড়া ডিটেনশন শিবিরে বন্দি ছিলেন। তারপর সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়৷ তাঁর পরিবার বিজেপির ব্যর্থতাকেই এর জন্য দায়ী করছে৷
ভোটার তালিকায় নাম, সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও বরপেটা রোডের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অমৃত দাসকে ২০১৭ সালে বিদেশি হিসেবে ঘোষণা করে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল। সে বছর ২০ মে থেকে তিনি গোয়ালপাড়া ডিটেনশন শিবিরে বন্দি ছিলেন।
ডিটেনশন শিবিরগুলির দুর্দশা নিয়ে মানবাধিকার কর্মী তথা প্রাক্তন আমলা হর্ষ মান্দার সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন। মামলা চলছে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চে। আসাম সরকার জানিয়েছে রাজ্যের ৬টি ডিটেনশন শিবিরে প্রায় সাড়ে ন’শো জন বন্দি আছেন। সরকার বিদেশি শনাক্তকরণ, বিতাড়ণে পর্যাপ্ত আন্তরিকতা না দেখানোয়, অনির্দিষ্টকাল মানুষকে ডিটেনশন শিবিরে বন্দি রাখায় ও বন্দিদের পর্যন্ত সুযোগসুবিধা না দেওয়ায় সরকারের নিন্দা করেছে আদালত। ১ এপ্রিলের শুনানিতে অসম সরকারের মুখ্য সচিব অলোক কুমার সশরীরের হাজির না হওয়ায় আগামীকালের শুনানিতে তাঁকে হাজির হওয়ায় ও আদালতের নির্দেশ না মেলা পর্যন্ত অসমে না ফেরার নির্দেশ দিয়েছে বেঞ্চ।
অমৃতবাবুর ছেলে কৃষ্ণ দাসের দাবি, “১৯৬১-র ভোটার তালিকা থেকে শুরু করে শেষ ভোটার তালিকায় বাবার নাম ছিল। বাবা, মা মোহনমালা দাস, আমরা দুই ভাই এত বছর ভোট দিচ্ছি। কিন্তু হঠাৎ করেই বাবার নামে নোটিস পাঠায় পুলিশ। ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল কারণ ছাড়াই বাবাকে বিদেশি বলে চিহ্নিত করে দেয়। ফলে আমাদের কারও নাম এনআরসি-র খসড়াতেও ওঠেনি। আমরা হাইকোর্টে মামলা চালাচ্ছিলাম। তার আগেই বাবা চলে গেল।” জেল কর্তৃপক্ষের দাবি, অমৃতবাবুকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। কিন্তু ছেলের দাবি, বিনা চিকিৎসায় বাবার মৃত্যু হয়েছে।