শুধু কথায় কথাই। একাধিক ঘোষণা করা সত্ত্বেও তা বাস্তবায়ন হয় নি। মোদী জামানায় রেলের অবস্থা খারাপ হয়েছে। গত পাঁচ বছরে জমা পড়া বহু আরটিআইয়ের মধ্যে দিয়েই উঠে এসেছে এই তথ্যগুলি।
২০১৪-২০১৫ সালে যেখানে ট্রেন বাতিলের সংখ্যা ছিল ৩৫৯১টি সেখানে ২০১৭-২০১৮ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ২১ হাজার। পিপিপি মডেলর মাধ্যমে যে ১৩টি স্টেশনকে আরও উন্নত করে তোলার ঘোষণা করা হয়েছিল, সেগুলির একটিও সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য তুলে দেওয়া হয়নি রেলের হাতে।
না শুধু এখানেই শেষ নয়। অরাজকতার তালিকা আরও বড়। ২০১৭-২০১৮ সালে মাত্র চার কিলোমিটার রেলপথ বৈদ্যুতিকিকরণ করা হয়েছে। কমেছে প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সংখ্যা। চাকরি গেছে বহু লোকের। বেড়েছে ট্রেনের ভাড়া।
কমেছে রেললাইন পাতার পরিমাণও। ২০১৭-২০১৮ সালে পাতা হয়েছে মাত্র ৪০৯ কিলোমিটারের রেলপথ। ২০১৫-তে ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা এলআইসির পক্ষ থেকে রেল পাবে বলে ঘোষিত হলেও বাস্তবে এখনও পর্যন্ত পেয়েছে মাত্র ৭ হাজার কোটি। ফ্রান্স, রাশিয়া এবং চীনের সঙ্গে একাধিক চুক্তি হলেও তা কাজে কিছুই হয় নি।
মোদী জামানায় রেলের ‘আচ্ছে দিন’ আর কবে আসবে? ভারতীয় রেল যে বড়ই বিপাকে তা স্পষ্ট এইসব আরটিআইয়ের তথ্য থেকে।