ভোট প্রচারের শুরুতেই কার্যত ঝড় তুললেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার আলিপুরদুয়ারে জোড়া সভা করেন মমতা। প্রথম সভা করেন বারোবিশাতে। সেখান থেকেই একের পর এক তোপ দাগলেন মোদী সরকারের বিরুদ্ধে৷ পাশাপাশি তুলে ধরলেন রাজ্যে তৃমমূল সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান৷ রাজ্যবাসীকে বিভ্রান্ত না হয়ে, অন্যের কথায় বিপথে চালিত না হয় তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান মমতা।
গেরুয়া শিবিরকে অলআউট আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘এবারে বিজেপিকে জেতালে দেশের স্বাধীনতা থাকবে না। বাবাসাহেব আম্বেদকরের সংবিধান থাকবে না। কারও স্বাধীনতা থাকবে না। গণতন্ত্র থাকবে না। কেউ কথা বলতে পারবে না। সংখ্যালঘুদের অধিকার থাকবে না। মোদী হিটলারের ঠাকুরদা’। মোদীর ‘চৌকিদারি’কেও কাঠগড়ায় তোলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘আগে ছিল চাওয়ালা, এখন চৌকিদার হয়েছে। লোকে কিন্তু বলছে, এ চৌকিদার ঝুটা হ্যায়। চৌকিদার লুট লিয়া হ্যায়’। সাফ বলেন, ‘মহব্বত জোড়া ফুলে হয়, বিজেপিতে নয়৷ যে আমাদের চ্যালেঞ্জে যাবে সে চুরচুর হয়ে যাবে’৷
ভোটের আগে সাম্প্রদায়িক বিভেদই বিজেপির একমাত্র হাতিয়ার অভিযোগ করে মমতা বলেন, ‘ওরা ভোটের আগে শুধুই হিন্দু-মুসলিম করে। ওদের বলে দিতে চাই, হিন্দু-মুসলিম-খ্রিস্টান সবাই আমার ভাই বোন। বিজেপির কথা শুনে ভুল রাস্তায় যাবেন না। ওরা শুধু বিভেদ ছড়ায়। পয়সা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করে’। রাজ্য পুলিশে রদবদল নিয়েও সরব হন মমতা। চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে মমতা বলেন, ‘সব অফিসার বদলে দিন। তাতেও আমাকে বদলাতে পারবেন না। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বলব, যৌথভাবে ভোট করুন। আমাদের ফোর্সও ভাল’।
আলিপুরদুয়ারের বিজেপি প্রার্থীর নাম করে তাঁকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘জন বারলা ডুয়ার্সে দাঙ্গা লাগিয়েছে, বাড়িতে আগুন লাগিয়েছে, তরাইয়ে আগুন জ্বালিয়েছে। জন বারলাদের আগুন জ্বালাতে দেবেন না। বিজেপির কি আর প্রার্থী জোটেনি? দাঙ্গাবাজকে কেন দিল? ওরা দাঙ্গাবাজকে প্রার্থী করে আলিপুরদুয়ারে আগুন লাগাতে চাইছে। আমাদের প্রার্থী আপনাদের বাড়িতে আগুন লাগাবে না’। পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার জেলার জন্য তৃণমূল সরকারের করা যাবতীয় প্রকল্পের খতিয়ানও তুলে ধরেন মমতা।
