নীতিশের উপর বিশ্বাসে চিড় ধারায় মহাগঠবন্ধনে ফিরতে চাওয়ার আর্জি বারবার নস্যাৎ করেন লালু প্রসাদ যাদব। এমনই বিস্ফোরক দাবি করেন লালুপ্রসাদ তাঁর লেখা আসন্ন প্রকাশিত ‘গোপালগঞ্জ টু রাইসিনা: মাই পলিটিক্যাল জার্নি’ বইতে।
মহাজোট ছেড়ে বিজেপি যোগদানের ছয় মাসের পরেই আবার মহাগঠবন্ধনে ফিরতে চেয়ে লালুর কাছে দূত হিসাবে এসেছিলেন জেডি(ইউ)-এর সহ সভাপতি প্রশান্ত কিশোর এমনই দাবি করেন তাঁর বইতে। তিনি আরো লেখেন বারবার প্রশান্ত লালুকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ জোটে যাতে নীতীশের প্রবেশে বাধা না থাকে। লালু বলেন, “কিশোর এই ইঙ্গিতই দিয়েছিলেন, জেডি(ইউ)-কে যদি লিখিত ভাবে সমর্থনের কথা ঘোষণা করি, তবে বিজেপি-র সঙ্গে জোট ছেড়ে ফের মহাগঠবন্ধনে ফিরে আসবেন নীতীশ কুমার।” কিন্তু এই প্রস্তাব মেনে নেন নি লালু। তিনি জানিয়েছেন কোনও তিক্ততা না থাকলেও ওঁর প্রতি একেবারেই বিশ্বাস হারিয়ে গিয়েছিল। তাছাড়া মহাগঠবন্ধনের অন্য দলগুলি কি প্রতিক্রিয়া দেবে তাও জানা ছিল না লালুর।I
লালুর এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ নাকচ করে দিয়েছে । জেডি(ইউ) দলের সাধারণ সম্পাদক কে সি ত্যাগী বলেন, “দলের শীর্ষ নেতৃত্বের এক জন হিসাবে পূর্ণ দায়িত্ব নিয়েই বলতে পারি, ২০১৭-তে আরজেডি-র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পর নীতীশ কুমার কখনই মহাজোটে ফিরে যেতে চাননি।”
বাবার বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছেন লালুপুত্র অখিলেশ যাদব। “বিজেপি-র সঙ্গে জোট গড়ার ছ’মাসের মধ্যেই নানা প্রস্তাব পাঠিয়ে বাবাকে, আমাকে এবং বিভিন্ন কংগ্রেস নেতাদের একাধিক মেসেজ করেছিলেন নীতীশ কুমার।”- এমনই দাবি করেন অখিলেশ। তবে এই মতামতের বিরুদ্ধে ট্যুইট করে প্রশান্ত কিশোর পাল্টা অভিযোগ হানেন তিনি। লালুপ্রসাদ যে দাবিগুলো করেছন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর বার কয়েক দেখা করলেও মহাগঠবন্ধনে ফিরে আসার কোন ইচ্ছে ছিল না জেডি(ইউ)-এর।
ভোটের মুখে বিহারের রাজনীতি মঞ্চে টানাটানি অব্যাহত। আরজেডি-জেডি(ইউ)-এর বাকযুদ্ধে উত্তপ্ত ভোটের ময়দান।