তিরাশি সালে ইংল্যান্ড থেকেই ভারতে প্রথম বিশ্বকাপ নিয়ে আসা অধিনায়ক কপিল দেব৷সেই কপিল জানিয়ে দিলেন, বিরাট কোহলিরা আসন্ন বিশ্বকাপে জয়ী হওয়ার ক্ষমতা রাখে৷
মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে তিরাশির সেই ঐতিহাসিক জয়ের স্মৃতিচারণে আয়োজিত ব্রিটানিয়া সংস্থার এক অনুষ্ঠানে কপিল বলে দিলেন, ‘‘কোহালির এই দলটা টেস্টে বিশ্বের এক নম্বর। এ বার বিশ্বকাপও জিততে পারে। তবে তার জন্য বিশ্বাস রাখতে হবে নিজেদের ক্ষমতার উপর।’’ তাঁর এই মন্তব্যের সঙ্গে একমত কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত, রজার বিনি, সৈয়দ কিরমানির মতো তিরাশির সতীর্থরাও৷
কপিল বলে চলেন, ‘‘বর্তমান ভারতীয় দলে বিরাট সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়। বিশ্বকাপ জিতবই, এই আত্মবিশ্বাসটা ওকে দলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। এড়িয়ে চলতে হবে চোট-আঘাত। ছত্রিশ বছর আগে কাপ জেতার সময় এই কাজটাই আমি করেছিলাম। বিরাটও সেটাই করুক।’’
কপিল আসন্ন বিশ্বকাপে বিরাটদের দলের চার নম্বর কে হতে পারেন তা নিয়েও মত প্রকাশ করলেন। দেশের সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার বলছেন, ‘‘বর্তমান ভারতীয় দলে এক থেকে সাত নম্বর— সবাই যে কোনও জায়গায় ব্যাট করতে পারে৷ আমি একটাই কথা বলব, বিশ্বকাপ জিততে গেলে দলে ম্যাচউইনার চাই। আমার দলে যেমন ম্যাচউইনার ছিল মোহিন্দর অমরনাথ, সন্দীপ পাটিল, মদনলালেরা।’’
চার নম্বর নিয়ে সোজাসাপ্টা বক্তব্য পাওয়া গেল কপিলের বিশ্বজয়ী দলের আগ্রাসী ওপেনার কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্তের থেকে। আট বছর আগে ধোনির দলের বিশ্বকাপ জয়ের সময় যিনি ছিলেন জাতীয় নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান। বললেন, ‘‘কপিল ঠিকই বলেছে। ম্যাচউইনার দরকার। বিরাটদের দলে উপরের দিকে, মাঝের দিকে, শেষের দিকে ভাল ব্যাটসম্যান রয়েছে। বোলিংটাও দুর্দান্ত। কিন্তু চার নম্বরে এমন একজনকে দরকার যে মাঠে নেমে একাই ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা ধরে।’’ শ্রীকান্তের জবাব, ‘‘আমি নির্বাচক হলে চার নম্বরে ঋষভ পন্থকে নিতাম। ও ম্যাচউইনার। ছেলেটা ইংল্যান্ডে গত বছর টেস্টে সেঞ্চুরি করেছে। ওখানকার পরিবেশ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। বিরাটের উচিত ওকে উৎসাহ দিয়ে মন খুলে খেলতে দেওয়া। কপিল যে রকম আমাকে খেলতে দিত। সেটা যদি বিরাট করতে পারে, তা হলে ঋষভ ন’টা ম্যাচের মধ্যে অন্তত তিনটে জিতিয়ে ফিরবে।’’