আইপিএলের প্রথম অধিনায়ক হিসেবে দলকে একশো ম্যাচে নেতৃত্ব দিচ্ছে কোহালি। কিন্তু তার দলকে দেখে মনে হচ্ছে লিগ টেবিলের নীচের দিকে শেষ করবে। টানা চারটেতে হারের পরে কোহালিদের প্লে-অফ খেলার স্বপ্ন কিন্তু ক্রমশ শেষ হয়ে যাচ্ছে। এক লেগস্পিনারের গুগলিই হারিয়ে দিয়ে গেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে! তিনি ম্যাচের সেরা শ্রেয়স গোপাল। ১২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে। রাজস্থান রয়্যালস জিতল ৭ উইকেটে।
নেতৃত্ব দিলেও বিরাট নিজেও ব্যর্থ। অচেনা গোপালের গুগলিতে ছিটকে গেল বিরাটের (২৩) স্টাম্প। আগের ম্যাচে তিনে নেমেছিলেন বিরাট। রান করতে এতটাই মরিয়া ছিলেন যে ওপেন করতে নামেন আরসিবি ক্যাপ্টেন। তাড়াহুড়ো না করে ধরেই খেলছিলেন। আগের তিনটের ইনিংসের রান মোটেও বিরাট-সুলভ নয়। ৬, ৪৬, ৩। কিন্তু এ দিন মাত্র ২৫ বলেই সোয়াই মান সিংহ স্টেডিয়ামের বাইশ গজে মুখ থুবড়ে পড়ল বিরাটের রানে ফেরার স্বপ্ন। গোপাল বলেছেন, ‘আমি নিজেকে কিছুটা ভাগ্যবান বলে মনে করছি। বিরাট আর এবি বিশ্বমানের ব্যাটসম্যান। তাই আমার মতো তরুণ বোলারের ওদের দু’জনের উইকেট পাওয়াটা দুর্দান্ত ব্যাপার।’ যদিও ইতিহাস বলছে, এর আগেও বিরাট এবং এবিডিকে এক ম্যাচে আউট করার অভিজ্ঞতা আছে গোপালের।
ইনিংসের সাত নম্বর ওভার। গোপালের দ্বিতীয় বলটাই গুগলি ছিল। কোহালি ঠিক মতো বুঝতে পারেনি। বলটা প্যাডের ওপর দিকে লাগে। যে কারণে সম্ভবত এলবিডব্লিউ দেননি আম্পায়ার। পরের বলটাও গুগলি করেন গোপাল। কোহালি সম্ভবত আশাই করেননি পরপর দুটো বল গুগলি হবে। মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধে এখানেই জিতে গেল গোপাল। আরসিবি অধিনায়কের ব্যাট-প্যাডের ফাঁক দিয়ে বল উইকেটে লাগে।
শ্রেয়সের স্পিনের জাদুতে ঘায়েল বেঙ্গালুরুর আর এক মহাতারকা এবি ডে ভিলিয়ার্স (১৩)। শিমরন হেটমেয়ারও (১) তাঁর শিকার। এ দিন আরসিবি ক্যাপ্টেন হিসেবে শততম ম্যাচ মোটেই ভালো গেল না বিরাটের। এ দিন প্রথম এগারোয় নেই আরসিবির বাঙালি স্পিনার প্রয়াস রায় বর্মণ। যুজবেন্দ্র চাহলের (২-১৭) সর্বোচ্চ উইকেটের বেগুনি টুপি মাথায় ওঠাই আরসিবির একমাত্র প্রাপ্তি।
আরসিবির ১৫৮-৪ স্কোর তাড়া করতে নেমে রাজস্থান অবশ্য একটু বেশিই কঠিন ফেলল ম্যাচ। তবে শেষমেশ ১৬৪-৩ তুলে এক বল বাকি থাকতে জয়। রাজস্থানের হয়ে রান পেলেন জস বাটলার (৫৯), স্টিভ স্মিথ (৩৮), রাহুল ত্রিপাঠি (৩৪ নঃআঃ)। ওপেন করতে নেমে রাজস্থান ক্যাপ্টেন অজিঙ্ক রাহানের অবদান ২২ রান। আরসিবির হয়ে ক্যাচ ফেললেন উমেশ যাদব, মইন আলি, মার্কাস স্টোইনিস ও পবন নেগি। টানা চার ম্যাচ হারের পর অসহায় বিরাটের বক্তব্য, ‘১৫-২০ রান কম হয়ে গেল। তারপরও বলছি যদি ক্যাচগুলো না পড়ত, তা হলে অন্য রকম কিছু হতে পারত। আসলে মোমেন্টাম না পেলে সব টিমেরই এ রকম হতে পারে। তবে আমার বিশ্বাস, এখনও ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব। কিন্তু আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে।’