১৮৫৪ সালে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বাঙালির বর্ণপরিচয় ঘটিয়েছিলেন। যা একজন শিশুর অক্ষরজ্ঞানের প্রথম পাঠ। কিন্তু এবারের লোকসভা নির্বাচনের আগেও তৃণমূল সেই বর্ণপরিচয়কেই হাতিয়ার করেছে৷তবে, একটু অন্যরকম এই বর্ণপরিচয়৷ বিজেপি সরকার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করেই বর্ণপরিচয়ের প্যারোডি করা হয়েছে। অ থেকে ঔ পর্যন্ত ১২টি বর্ণের মাধ্যমে বারোরকম খোঁচা দেওয়া হয়েছে বিজেপিকে। উ-এ উমা ভারতী ব্যপমে দোলে, ঊ-এ ঊনিশে বিজেপি যাবে বলে, ও-এ ওএনজিসি-র দুর্নীতি ভাবায় আর ঔ-এ ঔষধ আছে গরুর চোনায়। রাফালে দুর্নীতি, ব্যাপম কেলেঙ্কারি থেকে মালিয়ার বিদেশে পালানো, ইভিএম কেলেঙ্কারি সবই ১২টি স্বরবর্ণে প্রকাশ করা হয়েছে।
তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মীর কথায়, “ছড়া লিখতে পারে, প্যারোডি করতে পারে এমন ছেলেমেয়েদেরই বাছাই করা হয়েছে। তাঁরা ভাবনাচিন্তা করে এইসব ছড়া, প্যারোডি লিখছে। উদ্ভাবনী শক্তির পরিস্ফুটন ঘটাচ্ছেন তাঁরা।” তৃণমূল নেতাকর্মীদের অনেকেরই ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে নয়া বর্ণপরিচয়। পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি মহম্মদ সাদ্দামের হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসেও শুক্রবারই দেখা গিয়েছে ভোটের বর্ণপরিচয়। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে জোরদার তরজা।
দেওয়াল লিখন থেকে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়েছে সেই সব ছড়া। লেখা হয়েছে, ‘আতাগাছে তোতা পাখি, ডালিম গাছে মউ, মিথ্যেবাদী বিজেপিকে ভোট দেবে না কেউ’। ভোটের রণে এমনই কত ছড়া এবারের প্রচারে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে, বর্ণপরিচয়ের অনুকরণ সম্ভবত এবাবের ভোট উৎসবে এক্কেবারে অন্যরকম ভাবনা।
এই মুহূর্তে বিজেপির বাংলা দখলের পরিকল্পনার সামনে চীনের প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়ে আছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির যে কোনও জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে সবার আগে রুখে দাঁড়িয়েছেন মমতা এবং মমতার বাংলা। শুক্রবার সকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় তৃণমূল সমর্থকদের প্রচারিত একটি ভিডিও। সেখানে তুলে ধরা হয়েছে গত পাঁচ বছরে মোদী-শাহদের কার্যকলাপ। করব বলেও তাঁদের না-করা কাজের ফিরিস্তি। বেছে বেছে তুলে আনা হয়েছে বিজেপির রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। বানচাল করে দেওয়া হয়েছে তাদের বাংলা দখলের গেমপ্ল্যান। দেওয়া হয়েছে পাল্টা হুঁশিয়ারি, ‘আগে দিল্লী পারলে সামলা/ তারপরে ভাববি বাংলা/ নাহলে হাতে ধরিয়ে গামলা/ বাংলা দেবে বিদায়’।