গোটা দেশ জুড়ে এবার মোদী বিরোধী হাওয়া বইছে। মানুষ কার্যত তিতিবিরক্ত হয়ে উঠছে বিজেপির ওপর। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই ডাক দিয়েছেন, “২০১৯, বিজেপি ফিনিশ”। সেই একই কথা এবার বললেন যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি এবং ডায়মন্ডহারবারের প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক জানালেন, বিজেপির ক্ষমতা দখল শুধু স্বপ্নই থাকবে।
পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মৃগাঙ্ক মাহাতোর সমর্থনে নির্বাচনী জনসভা করেন অভিষেক। বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে অভিষেক বলেন, ‘ভোট ঘোষণা হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমরা প্রার্থী ঘোষণা করেছি। কিন্তু বিজেপি এখনও সব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করতে পারেনি। আর তারা ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখছে।বিজেপির পুনরায় ক্ষমতা দখল স্বপ্নই থেকে যাবে। যারা এখনও সব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করতে পারেনি তারা দেশ দখলের স্বপ্ন দেখে কী করে!’
সভামঞ্চ থেকেই নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ ও যোগী আদিত্যনাথের সমালোচনা করেন তিনি। অভিষেক বলেন, ‘বিজেপি সরকারের এক্সপায়ার ডেট শেষ হয়ে গেছে। আর মাত্র সময়ের অপেক্ষা। মোদী সরকার বাংলা বিরোধী। এরা বাংলায় কথা বলতে পারে না, বাংলা লিখতে জানে না, বাংলা পড়তে জানে না, বাংলার কৃষ্টি, সংস্কৃতি, সভ্যতা জানে না। এরা শুধু স্টেজে উঠে বড়ো বড়ো ভাষণ আর বুলি মারতে জানে। এরা আনবে বাংলায় পরিবর্তন। এত সোজা নয়, রাতারাতি দুটো মিটিং করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে ক্ষমতায় আসেননি।’
কর্মী–সমর্থকদের তিনি বলেন, ‘পুরুলিয়ায় প্রার্থী করা হয়েছে মৃগাঙ্ক মাহাতোকে। দেশের সাংসদের মধ্যে তিনি হবেন সবচেয়ে নিপাট ভদ্রলোক এবং কাজের মানুষ। তিনি দেশের ও বাংলার গর্ব। ২০১১ সালের পর এই জঙ্গলমহলে শান্তির পরিবেশ হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য। আর ২০১৪ সালে যারা বলেছিল অচ্ছে দিন আসবে, কোথায় গেল অচ্ছে দিন! গ্যাসের দাম বেড়েছে, নোট বদলে মানুষকে হয়রানি করা হয়েছে। বলেছিল অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকবে, ঢোকেনি, সব ভাঁওতাবাজি। এই মাঠে এসে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছিলেন, হিন্দুধর্মের জন্য তাঁরা নাকি কাজ করেছেন। তা হলে বেলুড় মঠকে যোগ্য সম্মান দেয়নি কেন।’
অভিষেক বলেন, ‘অনেক হয়েছে মোদী আর নয়। এবার ৪২–এ ৪২টি আসনে আমাদের প্রার্থীদের জয়ী হবেন। এবার ধর্মনিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা হতে চলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরর নেতৃত্বে। তাঁকে সামনে রেখে দেশের রাজনীতি আগামী দিনে এগোচ্ছে। কেন্দ্রের এই সরকার মানুষকে বছর বছর নানা সমস্যার মধ্যে ফেলেছে। ২০১৬ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত নানা সমস্যায় ফেলেছে দেশের মানুষকে। রান্নার গ্যাসের দাম বেড়েছে মানুষের মধ্যে সমস্যা বেড়েছে। ধর্ম নিয়ে সবসময় রাজনীতি করছে। হিন্দুর জন্য যদি কোনও মুখ্যমন্ত্রী কিছু করেছেন সেটা আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। আর ধর্মের নাম দিয়ে ভণ্ডামি করছে বিজেপি। তাই অনেক হয়েছে মোদি সরকার, আর এদের কেউ ভোট দেবেন না। পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের এই আসনে মৃগাঙ্ক মাহাতো দু লাখ ভোটে জয়ী হবেন। যে উন্নয়ন হয়েছে সেই উন্নয়ন দেখেই মানুষ তৃণমূল প্রার্থীকে জয়ী করবে। আমাদের নেত্রীকে ভয় দেখিয়ে রোখা যাবে না। আগামী দিনে দেশকে নেতৃত্ব দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এটা শুধু সময়ের অপেক্ষা।