বাংলার ‘কুইন অফ দ্য হিলস’ বলা হয় দার্জিলিং-কে। বাঙালির ঘোরার জায়গা বললেই আগে আসে দার্জিলিংয়ের নাম। বহুবার গেলেও দার্জিলিং-কে ফিকে বা ক্লিশে লাগেনা। তাই এই চেনা দার্জিলিংয়ের অচেনা ভাগ টাকে দেখানোর দায়িত্ব নিয়েছে আইআরসিটিসি। শিলিগুড়ি থেকে তিনধরিয়া। তিনটে লুপ আর তিনটে রিভার্স পার করে মোট ৩০ কিলোমিটার পথ যেতে স্টিম ইঞ্জিনে টানা টয়ট্রেনের সময় লাগবে খুব বেশি হলে সাড়ে তিন ঘণ্টা। আর এই সাড়ে তিন ঘন্টার মধ্যেই দেখা যাবে হিমালয়ের অদেখা, অজানা সৌন্দর্য।
এই পথে টয়ট্রেনে পর্যটন ব্যবস্থাকে উন্নত করার পরিকল্পনা করেছিল ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন। আগামী ২৪ মে দীর্ঘ দিনের সেই পরিকল্পনা বাস্তব রূপ নিতে চলেছে। ঠিক তার আগের দিন জানা যাবে ভোটের ফল। আইআরসিটিসি-র পক্ষ থেকে সংস্থার গ্রুপ জেনারেল ম্যানেজার দেবাশিস চন্দ্র বলছেন, “এক একটা ট্যুরে ২৪ জন পর্যটক যেতে পারবেন। প্রথম ট্যুর চালু হবে ২৪ মে। পাঁচ রাত-ছ’দিনের ট্যুর। মাথাপিছু খরচ ২৩ হাজার টাকা। আর দার্জিলিংয়ের প্রতি বাঙালি শুধু নয়, বিদেশিদেরও মনের টান সাংঘাতিক। তাই আমরা দার্জিলিং বাছলাম”।
শিয়ালদহ থেকে জলপাইগুড়ি পৌঁছানোর যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করবে স্টিম ইঞ্জিনে টানা একটা টয়ট্রেন। শিলিগুড়ি থেকে তিনধরিয়া পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার পথ যে কী অসামান্য প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর, এই ট্রেনযাত্রাই সেটা দেখাবে। সংস্থার পর্যটনের দায়িত্বে থাকা সৈয়দ আনোয়ারুল করিম বলছেন, “আমরা পর্যটকদের চার তারা সুবিধা দেব। ট্রেনযাত্রা ছাড়াও দার্জিলিংয়ে সাইট সিইংয়ের ব্যবস্থাও থাকবে। কিন্তু, সবচেয়ে আকর্ষক বিষয় অবশ্যই তিনটে লুপ ও তিনটে রিভার্স”। দার্জিলিং এবং টয়ট্রেনকে কী করে ফের একটু ‘অন্যরকম ভাবে’ আনা যায় পর্যটকদের সামনে, তা নিয়ে বছর দুই ধরে নানা পরিকল্পনা করছিল আইআরসিটিসি। অবশেষে সেই পরিকল্পনা বাস্তব রূপ নিতে চলেছে।