কিছুদিন আগেই প্রয়াত হয়েছেন মতুয়া সম্প্রদায়ের বড়মা বীণাপানি দেবী। সেই শোকের আবহেই নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বড়মার পুত্রবধূ মমতাবালা ঠাকুর। অন্যদিকে বনগাঁ কেন্দ্রে শান্তনু ঠাকুরের নাম বিজেপি প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা হতেই তাঁর ঘনিষ্ঠ এক নেতা-সহ শতাধিক বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। শান্তনুকে নিয়ে বিড়ম্বনায় বিজেপির প্রচার শুরুই হয়নি। আর এই আবহেই টানা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন মমতাবালা।
বৃহস্পতিবার সারাদিন স্বরূপনগর ও বাদুড়িয়ায় প্রচার করেন মমতাবালা। কখনও হেঁটে, কখনও ম্যাটাডোরে চেপে প্রচারের ফাঁকে হাত মেলান পথচলতি ভ্যানচালক, পথচারী, গৃহবধূদের সঙ্গে। সকাল থেকে তাঁকে দেখতে ভিড় জমেছিল স্বরূপনগর ও বাদুড়িয়ার সীমান্তবর্তী গ্রামে। কাঁটাতারে ঘেরা সীমান্তবর্তী কৈজুড়ি, বালতি এবং শায়েস্তানগর–১ এই তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিশাল মিছিল করে ঘোরেন মমতাবালা।
শাঁখ বাজিয়ে, উলু দিয়ে এবং ঝাঁজর–ঘণ্টা বাজিয়ে মহিলারা মমতাকে স্বাগত জানান। জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী মমতাবালা বলেন, ‘বনগাঁ কেন্দ্রে আমার প্রতিপক্ষ কেউ নেই। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সৈনিক। মানুষ আমার পাশে আছে। আমার শাশুড়ি, প্রয়াত বড়মার স্বপ্নপূরণ আমার প্রধান লক্ষ্য।’গতকালের প্রচারে মমতাবালা সাধারণ মানুষের বিপুল সমর্থন পান।
অন্যদিকে শান্তনু বিজেপির প্রার্থী হতে পারেন এই জল্পনা শুরু হতেই তাঁর অনুগামী মতুয়ারা ঠাকুরবাড়িতে জড়ো হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। শান্তনুর ঘনিষ্ঠ শঙ্কর ঠাকুরের অনুগামীরা তাঁর প্রার্থী হওয়ার বিপক্ষে জোরদার সওয়াল করেন। পারুইপাড়া থেকে শান্তনুর ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা অরুণ বাছারের নেতৃত্বে প্রায় ১০০ বিজেপি কর্মী সমর্থক যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। অরুণ গতকাল বলেন, ‘শান্তনু ঠাকুর বেইমান, মিথ্যেবাদী। আমাকে নিজের স্বার্থে ব্যাবহার করেছেন। চ্যালেঞ্জ করে বলছি পারুইপাড়া থেকে শান্তনুকে কেউ ভোট দেবে না।’ তাঁদের হাতে ঘাসফুলের পতাকা তুলে গাইঘাটা ব্লকের তৃণমূল সভাপতি ধ্যানেশ নারায়ণ গুহ বলেন, ‘শান্তনু মতুয়াদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন নিজে প্রার্থী হয়ে। তাই বিজেপি ঘনিষ্ঠ মতুয়ারা ক্ষুব্ধ হয়ে তৃণমুলে যোগ দিয়েছেন।’