বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বাংলার ৪০টি লোকসভা আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। সেই তালিকায় অর্ধেকেরও বেশি নাম সম্পর্কে বিজেপির রাজ্য নেতাদের অনেকের কোনো ধারণাই নেই। ফলে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিট বিলিকে কেন্দ্র করে বিজেপি-র রাজ্য নেতৃত্বের একাংশ বেজায় চটেছে। ঠিক কীভাবে প্রার্থী চয়ন হয়েছে, বিজেপির অভ্যন্তরে কি কি যোগ্যতায় প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে সেই বিষয় নিয়ে রীতিমতো চর্চা চালাচ্ছেন রাজ্য বিজেপির একাধিক পদাধিকারী। এরফলে বিজেপির অন্দরে হচ্ছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
এই বিষয়টি নিয়ে তেমন ভাবিত নন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, দল বড় হচ্ছে, অন্য দল থেকে যাঁরা আসছেন যোগ্যতার বিচারে তাঁদের টিকিট দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকতেই পারে, ধীরে ধীরে সব মিটে যাবে। যদিও একথা মানতে নারাজ বিজেপি দলের অন্যান্য অনেক নেতারা। জেলা নেতৃত্বও রীতিমতো বিভ্রান্ত এই বিষয়ে। একাধিক ক্ষেত্রে অন্য জেলার প্রার্থীকে কার্যত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারকা প্রার্থী হলে সমস্যা নেই, কিন্তু অতি সাধারণ মানের প্রার্থীর ক্ষেত্রে বিরোধীরা বহিরাগত তকমা দিয়ে দিচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে দলের এক শীর্ষ নেতা অকপটে স্বীকার করে নিয়েছেন যে, ৪২টি কেন্দ্রে ‘দমদার’ প্রার্থী খুঁজে পাওয়াই সমস্যা হচ্ছিল। রাজ্য এবং জেলার নেতাদের অধিকাংশই ভোটে দাঁড়াতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু বিজেপি যাদের টিকিট দিয়েছেন বাংলায় সেই প্রার্থীদের অনেককেই এলাকার মানুষ চেনেন না। রাজনৈতিক লড়াই-আন্দোলন করার পূর্ব ইতিহাসও নেই তাঁদের। কীভাবে, কোন যোগ্যতার নিরিখে বিজেপির টিকিট পেয়ে গেলেন তাঁরা, প্রশ্ন উঠছে বিজেপির অন্দরেই।
মানুষের গণতন্ত্রকে দাম না দেওয়া বিজেপি সরকার নোটবন্দি, রাফালকান্ড প্রভৃতি ঢাকতে মানুষকে ‘মিশন শক্তি’-র ভাঁওতাবাজি দিচ্ছে। বিজ্ঞানীদের প্রাপ্ত কৃতিত্ব নিচ্ছেন মোদী নিজে। কিন্তু বাংলার মানুষ সদা জাগ্রত। তাঁরা জানে, বাংলার উন্নয়ন হবে মমতার হাত ধরেই। তাই বিজেপির প্রার্থী বাছাই নিয়ে যতই বিরোধ হোক না কেন বাংলায় বিজেপি-র আসন পাবার কোনও আশা নেই।