গত ১০ মার্চ ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেদিন থেকেই দেশজুড়ে লাগু হয়ে গেছে নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি। আর তাই বুধবার মহাকাশ বিজ্ঞানীদের সাফল্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ’কে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ বলে মনে করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়। তাঁর মতে, গোটা ঘটনাটাই মোদীর পাবলিসিটি স্টান্ট।
গতকাল দুপুরেই টুইট করে এ নিয়ে কটাক্ষ করার পর বিকালে দলীয় ইস্তেহার প্রকাশের সময়ও মোদীকে বিঁধে মমতা বলেন, ‘সকালবেলা ফালতু দু’ঘণ্টা পাবলিসিটি খেয়ে নিলেন মোদী।’ তিনি জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাবে তৃণমূল। নির্বাচন কমিশন সূত্রের বক্তব্য, অভিযোগ ওঠায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা ও সংশ্লিষ্ট নিয়মকানুন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মহাকাশে বিজ্ঞানীদের সাফল্যকে সামনে রেখে গতকাল ‘জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ’ দিয়েছেন মোদী। তারপরই তাঁর সমালোচনায় মুখর হয়েছে দেশের বিরোধীরা। বিজ্ঞানীদের সাফল্যে অভিনন্দন জানিয়ে মমতা বলেন, ‘এই কৃতিত্ব দেশের বিজ্ঞানীদের। একদিনে এটা হয়নি। অনেক বছর ধরেই এই উৎকর্ষ চলছে। তাঁদের জন্য আমরা গর্বিত। তাঁদের সম্মান করি।’
তবে একইসঙ্গে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ‘বিজ্ঞানীদের সাফল্যের কৃতিত্ব নিতে চাইছেন মোদী। ভোটের আগে রাজনৈতিক ফায়দা লুঠতে তিনি এই নাটক করছেন।’ এখানেই না থেমে, কটাক্ষের সুরে মমতা বলেন, ‘আমি তো ভাবছিলাম, উনি হয়তো বলবেন যে আর ভোটে দাঁড়াবেন না! উনি বলবেন জেনে সকাল থেকে মনে হচ্ছিল, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে। কিন্তু ছোট্ট মেঘও তো দেখা গেল না!’ তাঁর অভিযোগ, ‘এই ভাষণ দিয়ে মোদী নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করেছেন।’
ভোট ঘোষণার পরে দূরদর্শন, বেতার কেন্দ্রকে ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রী আদর্শ আচরণবিধি ভেঙেছেন বলে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস, সপা, বসপাও। কংগ্রেস জানিয়েছে, এই বিষয়টি দলের লিগাল সেল খতিয়ে দেখবে। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশে বিজেপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী, অখিলেশ যাদব, মায়াবতী অভিযোগ তুলেছেন, প্রধানমন্ত্রী রুটিরুজি নিয়ে মানুষের ক্ষোভ থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছেন। নিজের প্রচারে নিখরচায় টিভি-রেডিও ব্যবহার করছেন।