দার্জিলিং আদালত বিমল গুরুংয়ের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিল। শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন বিমল গুরুংকে বেশ কয়েকবার ডেকেছিল একটি বিষয় জানার জন্য। কিন্তু তিনি শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের সামনে কোনোদিনই জাননি। প্রসঙ্গত, ২০১৭–তে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার একটি মিছিলে কেন স্কুল চলাকালীন শিশুদের সেখান থেকে একটি রাজনৈতিক দলের মিছিলে আনা হয়েছিল, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছিল কমিশন। বার বার চিঠি দেওয়া হলেও কোনো রকম যোগযোগ করা হয়নি গুরুং-এর তরফে। কমিশন বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখে এবং কাজটি অপরাধমূলক বলে জানায়। এর পরেই বিষয়টি আদালত অবধি গড়ায়। বিমল গুরুং এবং তাঁর আত্মীয়–স্বজনদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয় আদালত।
প্রসঙ্গত, বিমল গুরুং দীর্ঘদিন ধরে পলাতক। ২০১৭–র ২৯ জুন এবং ৩ জুলাই মোর্চার মিছিল ছিল এবং পাহাড়ে বন্ধ চলছিল। গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে ওই মিছিলে পড়ুয়াদের আনা হয়েছিল এবং তাদের হাতে পতাকাও ছিল। কেন এই ধরনের কাজ করা হয়েছিল, তা জানতে কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী চিঠি দিয়েছিলেন গুরুংকে। শিশু অধিকার সুরক্ষা আইনে এই বিষয়টি বেআইনি। বিমলের এবিষয়ে কোনোরকম পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নিল দার্জিলিং আদালত।