ইস্তেহার প্রকাশ করে নোটবন্দী নিয়ে তদন্তের দাবি জানালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বুধবার কালীঘাটের দলীয় কার্যালয়ে তৃণমূলের ইস্তেহার প্রকাশ করেন মমতা। সেখানে সাফ জানিয়ে দেন, ‘ক্ষমতায় এলে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিকে দিয়ে নোটবন্দীর তদন্ত হবে’। পাশাপাশি জিএসটি নিয়েও প্রশ্ন তুলে দেন৷ জানান, মানুষের কাজে না লাগলে জিএসটি বাতিল করা হবে৷
মোদী সরকারের দুটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত হল নোটবন্দী ও জিএসটি। এই দুই সিদ্ধান্ত নিয়েই সবার আগে সরব হয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন এই নিয়ে মমতা বলেন, ‘নোটবন্দী নিয়ে তদন্ত হবে৷ কার স্বার্থে নোটবাতিল? এই নিয়ে দাবি থাকবে তদন্ত করার৷ আমরা চাই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এর তদন্ত করুক৷ কত টাকা দেশের বাইরে গিয়েছে কত কালো টাকা সাদা হয়েছে সেই সব উঠে আসবে তদন্ত’৷
পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ে জিএসটিরও পুনর্মূল্যায়ণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘জিএসটি ঠিক মতো চালু করা হয়নি৷ বিশেষজ্ঞদের দিয়ে জিএসটি পর্যালোচনা করা হবে। প্রয়োজনে জিএসটি তুলে দেওয়া হতে পারে’। ক্ষমতায় আসার পর যোজনা কমিশন লুপ্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার বদলে তৈরি করা হয়েছে নীতি আয়োগ। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেন তৃণমূল নেত্রী। বলেন, ‘নতুন সরকার ফের যোজনা কমিশনকে ফিরিয়ে আনবে’।
বাংলা ছাড়াও ইংরেজি, হিন্দি, নেপালি, এমনকী, অলচিকি ভাষাতেও নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেন মমতা। লোকসভা ভোটে ইস্তেহারেও এ রাজ্যের দাবিদাওয়াকেই গুরুত্ব দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, লোকসভা ভোটে প্রত্যেকটি রাজ্য আলাদা ইস্তেহার তৈরি করে। যখন সর্বভারতীয় স্তরে আলোচনা বসবেন, তখনই জাতীয় ইস্যুগুলি তুলবেন। ইস্তেহারে কৃষকদের জন্য সর্বভারতীয় স্তরে প্যাকেজ, অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম সামাজিক নিরাপত্তার দাবি তুলেছে তৃণমূল। সাংবাদিক বৈঠকে এ রাজ্যে সরকারের কাজের খতিয়ানও তুলে ধরেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
