নিজেদের হারানো জমি ফিরে পেতে ভোটের মুখে আবারও দেশবাসীকে গিমিক দেওয়ার চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ জাতিকে বেশ কিচ্ছুক্ষণ সাসপেন্সে রেখে মাটি থেকে সোজা মহাকাশে উঠে গেলেন মোদী। আর মোদীর এ হেন গিমিক ধরে ফেলে কালক্ষেপ না করে দিদি বলে দিলেন, নাটক নাটক, মাত্রাছাড়া নাটক। জাহাজ যে ডুবছে টের পাচ্ছে। বাঁচাতে হবে তো!
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নোটবন্দীর কথা ঘোষণা করার পরই ৪৫ মিনিটের মধ্যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সে কথা তো তিনি মনেও করিয়ে দেন সুযোগ পেলেই। মঙ্গলবার নবান্ন থেকে বেরনোর সময় আরও একবার সে কথা মনে করিয়েছিলেন তিনি। এ দিনও একই ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চার-চারটি টুইট করেন তিনি।
বেলা ১১ টার কিছু পরে আচমকাই প্রধানমন্ত্রী টুইট করেন, ‘মেরে পেয়ারে দেশবাসীয়োঁ, আজ লগভগ ১১.৪৫ -১২.০০ বজে ম্যাঁয় এক মহত্ত্বপূর্ণ সন্দেশ লে কর আপ কে বিচ আউঙ্গা।’ মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষ করে ঘোষিত সময়ের থেকে কিছুটা দেরিতে জাতির উদ্দেশ্যে বলেন, দেশ আজ এক গুরুত্বপূর্ণ শক্তি অর্জন করেছে। মহাকাশে ‘লো অরবিট’ একটি উপগ্রহকে এদিন রকেট ছুঁড়ে ধ্বংস করেছেন ভারতের বিজ্ঞানীরা। সেই রকেট তৈরি হয়েছে ভারতেই। এর আগে আমেরিকা, রাশিয়া ও চিনের হাতে এই ক্ষমতা ছিল। এবার বিশ্বে ভারত হল চতুর্থ দেশ।
মোদীর ভাষণের পর তাঁর প্রথম টুইটে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘ভারতের মিশন কর্মকাণ্ড বছরের পর বছর ধরে বিশ্বমানের। আমরা সবসময় আমাদের বিজ্ঞানীদের নিয়ে গর্বিত।’ এরপরই মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। লেখেন, ‘মহাকাশ গবেষণা এবং তার উন্নতি একটা চলমান প্রক্রিয়া। কিন্তু মোদী যা করেন, ঠিক সব কৃতিত্ব নিজে নিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু এই কৃতিত্ব আসলে আমাদের মহাকাশ বিজ্ঞানী ও গবেষকদের।’
এখানেই না থেমে তৃতীয় টুইটে মোদীর বিরুদ্ধে নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে এই ঘোষণাকে ভোটের আগে ফায়দা তোলার লাগামহীন নাটক বলে কটাক্ষ করেন মমতা। সিরিজ টুইটের শেষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই সরকারের এক্সপায়ারি ডেট ফুরিয়ে গিয়েছে। তাই বিজেপির ডুবন্ত জাহাজকে অক্সিজেন দিতেই এ দিন এই সমস্ত বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।’ আসলে জাহাজ যে ডুবছে, তা টের পাচ্ছেন তিনি। তাই ভোটের আগেই মাত্রাছাড়া নাটক শুরু করেছেন।