‘ওল্ড ইজ অলওয়েজ গোল্ড’। তাই গেরুয়া শিবিরের উচিত ছিল ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে লালকৃষ্ণ আডবানীকে ভোটে দাঁড়ানোর সুযোগ দেওয়া। বিজেপির এই বর্ষীয়ান নেতা সম্পর্কে এমনটাই মনে করেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল, মঙ্গলবার দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মুখ্যমন্ত্রী।
আডবানীকে এবারের ভোটে গুজরাটের গান্ধীনগর থেকে প্রার্থী করেনি বিজেপি। তাঁর জায়গায় ওই আসন থেকে ভোটে লড়ছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। বিজেপির তরফে আডবানীকে প্রার্থী না করার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে প্রশ্ন করায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিজেপির স্তম্ভ লালকৃষ্ণ আডবানী, অটলবিহারী বাজপেয়ী। দু’জনেই বর্ষীয়ান নেতা। আমি যখন সংসদে যেতাম, তখন দু’জনের সঙ্গেই কথা হত। আমার ব্যক্তিগত অভিমত, লালকৃষ্ণ আডবানীকে সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল। অনন্ত কুমারের স্ত্রীর-ও সুযোগ পাওয়া উচিত ছিল।’
মমতার মতে, ‘আডবানীজি একজন মেন্টর। ওল্ড ইজ অলওয়েজ গোল্ড।’ তবে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেপির অপর প্রবীণ নেতা মুরলিমনোহর যোশির টিকিট না পাওয়া নিয়েও আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন মমতা। প্রসঙ্গত, লোকসভার টিকিট না দেওয়া তো বটেই, প্রথম দু’দফার ভোটে বিজেপির ‘তারকা প্রচারক’-এর তালিকা থেকেও ছেঁটে ফেলা হয়েছে আডবানী এবং যোশিকে। ফলে একদা দলের অন্দরে প্রবল ক্ষমতাশালীদের কোণঠাসা করার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
গতকাল নোটবন্দী নিয়েও মোদী সরকারের উদ্দেশ্যে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেছেন মমতা। ভোটের মুখে অভিযান চালিয়ে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে সারা দেশে। এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নোটবন্দী ঘোষণার ৪৫ মিনিটের মধ্যেই আমি নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলাম। এটা একটা বড় কেলেঙ্কারি। আগে কখনও আমাদের দেশে এই জিনিস হয়নি।’ আর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বায়োপিক নিয়ে মমতা সাফ জানিয়ে দেন, ‘অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার ছবি হয়েছে। যদি কেউ নিজের মতো করে ছবি দেখায়, তাহলে তার উদ্দেশ্য পরিষ্কার। নাহলে অনেক ছবিই তো হচ্ছে।’