গত শুক্রবার সন্ধ্যায় কালবৈশাখী বয়ে যাওয়ার পর শনিবার থেকেই বাড়তে থাকে পারদ। সোমবার কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এই তাপমাত্রাটি স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। সোমবার উত্তুরে হাওয়া বয়ে যাওয়ায় সেভাবে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, গরম থেকে সাময়িক রেহাই দিতে মঙ্গলবার দুপুরের পর কালবৈশাখী বয়ে যেতে পারে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। তবে এপ্রিলের শুরুতে প্রবল দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে গোটা রাজ্যে।
হাওয়া অফিসের খবর অনুযায়ী, ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝড়। কলকাতা–সহ দক্ষিণবঙ্গেও ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বুধবার বিকেলে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। পূর্বাভাস অনুসারে দক্ষিণবঙ্গ ও বাংলাদেশের ওপর তৈরি হতে চলেছে শক্তিশালী বৃষ্টিবলয়। যার ফলে আজ, ২৬ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির তাণ্ডব চলবে।
আজ ভোর থেকেই জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার জেলায় আকাশ কালো করে আসে। সকাল সওয়া ন’টা থেকে শুরু হলো ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি। কালবৈশাখীর দাপটে লণ্ডভণ্ড এই দুই জেলার একাধিক এলাকা। প্রায় ৫০ কিলোমিটার গতিবেগ ঝড়ের ফলে ভেঙে পড়েছে প্রচুর গাছ। ছিঁড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের তার। ফলে অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলার গোশালা মোড় থেকে শহরে ঢোকার রাস্তায় তোরণ ভেঙে পড়েছে। ফলে যান চলাচলে প্রচুর সমস্যা হচ্ছে। সপ্তাহের কর্মব্যস্ত দিনে এই ঝড় বৃষ্টিতে সমস্যায় পড়েছেন অফিসযাত্রী থেকে শুরু করে স্কুল কলেজের ছেলেমেয়েরা। বেশ কিছু স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে।