হাতে বাকি আর মাত্র ১৫ দিন। তার আগে প্রার্থী বাছাই থেকে শুরু করে গোষ্ঠীকোন্দল, একাধিক কারণে ব্যাকফুটে গেরুয়া শিবির। ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে বইতে শুরু করেছে মোদী বিরোধী হাওয়া। তবে ভোটযুদ্ধের আগেই ধরা পড়ল বিজেপির ভাঁড়ে মা ভবানী দশা। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ উপস্থিত। জনসভা হচ্ছে উত্তরপ্রদেশে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি আগ্রায়। কিন্তু তবুও ফাঁকাই পড়ে রইল অধিকাংশ চেয়ার।
উল্লেখ্য, এমন নয় যে, তড়িঘড়ি করে ওদিনের সভা ডাকা হয়েছে। অনেক আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বিজেপি নেতারা ২৪ ও ২৬ সেপ্টেম্বর দেশজুড়ে জনসভা করে দলের লোকসভা প্রচারাভিযানের সূচনা করবেন। ফলে তার পরেও জনসভায় লোক এত কম কেন, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিজেপির অন্দরেই।
প্রসঙ্গত, এখন ফেসবুক-টুইটার-ইনস্টাগ্রামের দৌলতে সঙ্গে সঙ্গে সেই ছবি সকলের কাছে পৌঁছে যায়। রবিবারও তার অন্যথা হয়নি। ফলে বিজেপির অস্বস্তি বেড়েছে বই কমেনি। ছবি-ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, আগ্রার সভায় পিছনের দিকের চেয়ারের প্রায় সবকটিই খালি পড়েছিল।
যদিও বিজেপির রাজ্য নেতাদের দাবি, হঠাৎ করেই প্রচন্ড গরম পড়ে গেছে। চড়া রোদও ছিল। তাই লোক কম হয়েছে। কিন্তু প্রচার সূচনায় মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি সভাপতির জনসভায় পিছনের দিকে গাদা গাদা চেয়ার খালি, এই দৃশ্য খুব একটা উৎসাহজনক নয়। বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশের, যেখানে বিজেপি গতবার ৭১ আসনে জিতেছিল।
তবে এবার এখানে সপা-বসপার মহাজোট এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বিজেপি রীতিমতো কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখ ফেলে দিয়েছে। যদিও, একটা জনসভায় ভিড় না-হওয়া নিয়ে জেতা-হারার মূল্যায়ন চলে না। কিন্তু আগ্রায় গত দু’বার বিজেপি জিতেছে।
এবার যদিও দু’বারের সাংসদ রামশঙ্কর কাথেরিয়াকে আর টিকিট দেয়নি বিজেপি। তার জায়গায় রাজ্যের মন্ত্রী এসপি সিং বাঘেলকে প্রার্থী করা হয়েছে। বাঘেল আবার কট্টর কাথেরিয়া বিরোধী। এরপরও কাথেরিয়া এটাওয়া থেকে প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করছেন। বিজেপি মহলে প্রশ্নটা হল, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই কি এই অবস্থা হল? কাথেরিয়া কি চাপ দিয়ে দেখাতে চাইলেন, তিনি অপরিহার্য?
উল্লেখ্য, এর আগে বিজেপির অন্ধ্রের জনসভাতেও লোক হয়নি। কিন্তু যোগীর রাজ্যেও কী করে এই ছবি দেখা যেতে পারে? যেখানে খোদ মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ হাজির। উত্তরপ্রদেশে তিনি তো অন্যতম মুখ। গোটা দেশের কাছেই হিন্দুত্বের পোস্টারবয় তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের পর একমাত্র যোগী আদিত্যনাথকেই তাে সারা ভারত জুড়ে প্রচার করায় বিজেপি। সেখানে তিনি নাকি লোক জোগাড় করতে পারছেন না! ফলে গোটা ঘটনায় বিজেপির দৈন্য দশাই ধরা পড়ছে।