‘মোদী-শাহ চাননি আমি ভোটে দাঁড়াই’ – বিস্ফোরক মুরলী মনোহর যোশী
বিজেপির মুরলী মনোহর যোশীকেও এবারে টিকিট দেয়নি বিজেপি। এতে বেজায় চটেছেন এই বরিষ্ঠ নেতা। তাঁকে টিকিট না দেওয়ার জন্য সরাসরি মোদী ও অমিত শাহকেই দোষ দিয়েছেন যোশী। বলেছেন, ‘মোদী-শাহ চাননি আমি ভোট দাঁড়াই। তাই ওঁদের জন্যই এবার দল টিকিট দেয়নি আমায়’।
বিজেপির প্রার্থী তালিকা থেকে লালকৃষ্ণ আডবানীর সঙ্গে মুরলী মনোহর যোশীর নামও কাটা গিয়েছে এবার। এমন ঘটনায় অস্মমানিত বোধ করেছেন বলে ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন আডবানী। কিন্তু যোশী চুপ করে থাকেননি। মুখ খুলেই বোমা ফাটালেন দলের বিরুদ্ধে। মোদী-শাহের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগড়ে দিলেন।
এই প্রসঙ্গে বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা মুরলী মনোহর যোশী জানান, তিনি এবার কানপুর থেকে লড়তে চেয়েছিলেন৷ কিন্তু দল কর্ণপাত করেনি৷ এমনকি তাঁকে অন্য কেন্দ্রের টিকিটও দিতে চায়নি৷ একেবারে নাম উল্লেখ করে যোশী বলেন, ‘সাধারণ সম্পাদক শ্রীরামলাল আমাকে জানিয়ে দেন যে কানপুর বা অন্য কোনও কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়ানোর টিকিট দেওয়া হবে না৷’ এতেও তিনি ক্ষুব্ধ হন৷ জানান, দল যদি এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে তাহলে সর্বভারতীয় সভাপতির উচিত ছিল আমাকে জানানোর৷ সেটাও করা হয়নি।
মুরলী মনোহর যোশীর মন্তব্যে পরিস্কার, আদবানি ও তাঁকে খুব সন্তর্পণে রাজনৈতিক সন্ন্যাসের পথে পাঠিয়ে দিতে চেয়েছে বিজেপি৷ রাজনৈতিক মহলের মতে, মোদী ও অমিত শাহ চাননি বলে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে টিকিট দেয়নি দল৷ বিজেপিতে এখন মোদী-শাহ যুগ চলছে৷ তারা যা সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই চূড়ান্ত৷ যোশীকে টিকিট না দেওয়ার সিদ্ধান্তে তাদেরও সায় আছে তা বলাই বাহুল্য৷ অন্যদিকে লোকসভা ভোটের মত গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মযজ্ঞে আদবানি ও যোশীর অভিজ্ঞতেকে কাজে লাগাতে চায় না গেরুয়া শিবির৷ সেই জন্য মঙ্গলবার সকালে বিজেপি যে ৪০ জন স্টার ক্যাম্পেনারের তালিকা প্রকাশ করেছে সেখানেও এই দুই মার্গদর্শকের নাম বাদ রাখা হয়েছে৷
অথচ যোশী বারাণসী কেন্দ্রটি ছেড়ে দেওয়ায় মোদী ২০১৪ সালে এই কেন্দ্র থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী হন৷ সেই বছর যোশীকে কানপুর কেন্দ্রের টিকিট দেওয়া হয়৷ রেকর্ড মার্জিনে তিনি সেই কেন্দ্র থেকে ভোটে জেতেন৷
