সুপার কাপ নিয়ে সমস্যা মিটছে না কিছুতেই। আই লিগের ৭টি ক্লাব জোট বেঁধে ফেডারেশনকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল, দাবি না মানলে তারা সুপার কাপ বয়কট করবে। তারপর নানারকম টালাবাহানার পরে ইস্টবেঙ্গল রাজি হলেও এখনও অবধি সুপার কাপ না খেলার সিদ্ধান্তে অনড় মোহনবাগান।
৬ টিমের জোট, যারা দাবি তুলেছিল ফেডারেশন তাদের প্রস্তাব না মানলে সুপার কাপে খেলব না, সেই জোটের ৫ টিম নিয়ম মেনে সময়েই তাদের ফুটবলারদের নাম নথিভুক্ত করে ফেলেছে সুপার কাপে। ফেডারেশন কর্তা অনিল কামাথ ভুবনেশ্বর পৌঁছেও গিয়েছেন সুপার কাপ আয়োজন করতে। অনিলই ফোনে বললেন, ‘মোহনবাগান ছাড়া সব ক্লাব নাম নথিভূক্ত করে ফেলেছে। তাই ধরেই নেওয়া হচ্ছে বাগান ছাড়া সকলেই সুপার কাপে খেলবে।’
মোহনবাগান অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত, যিনি জোটেরও কর্তা সোমবার রাতে তিনি বললেন, ‘জোটের ঐক্য এখনও একই রয়েছে। আই লিগের টিমরা সুপার কাপে খেলবে না। ফেডারেশন এ সব বলে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে জোট ভাঙার চেষ্টা করছে।’ প্রশ্ন উঠছে মোহনবাগান যদি না-ই খেলে, তা হলে আচমকা প্র্যাক্টিস শুরু হল কেন? দেবাশিসের জবাব, ‘আমদের একটা নির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। তাই প্র্যাক্টিস হচ্ছে। সময় হলেই সব কিছু জানতে পারবেন।’
সোমবার অনুশীলন শুরু করলেও এখনও সবকিছু স্পষ্ট নয় খেলোয়াড়দের কাছে। এমনকি কোচ খালিদ জামালও বিভ্রান্ত। অনেক দিন পর অনুশীলন করে হালকা গা ঘামানোর পর ফুট ক্রিকেট খেলিয়ে ফুটবলারদের ছেড়ে দেন খালিদ। সনি বেশ হতাশা ও আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘কর্তারা একটা বিশেষ কারণে সুপার কাপ না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে ফুটবলাররা খেলতে মুখিয়ে আছি। আই লিগে ভাল খেলতে না পারায় সুপার কাপটা ছিল এই মরশুমে নিজেদের প্রমাণের শেষ সুযোগ। সেটা হবে কি না জানি না। আরও বেশি খারাপ লাগছে, হাইতি কোচ আমাকে জাতীয় দলে ডেকেছিলেন। কিন্তু সুপার কাপের জন্য কোচকে অনুরোধ করি জাতীয় দলে না রাখার জন্য। এখন সুপার কাপে না খেললে জাতীয় দলে খেলার সুযোগটাও নষ্ট হল।’