প্রধানমন্ত্রী না প্রচারমন্ত্রী বোঝা মুশকিল৷ প্রধানমন্ত্রীকে চা ও টি-শার্ট বিক্রি করা কি শোভা পায়? না, এ কোনও বিরোধী নেতার মন্তব্য নয়, খোদ এক বিজেপি নেতার ‘মন কি বাত’৷ তবে প্রকাশ্যে নিজের মনের কথা বলে ফেলায় বহিষ্কার করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশের ওই বিজেপি নেতা আইপি সিংকে। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগেই সোমবার দল থেকে বহিষ্কার করা হল তাঁকে৷
প্রসঙ্গত, আইপি সিং হলেন লখনউয়ের প্রথম সারির বিজেপি নেতাদের একজন৷ তাঁর একের পর এক বিতর্কিত টুইট ঘিরেই ঘটনার সূত্রপাত্। দলীয় নেতৃত্বের ওপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীকে বেছে নেব নাকি প্রচারমন্ত্রীকে? প্রধানমন্ত্রী টি-শার্ট, কাপ বিক্রি করছেন, এসব দেখতে আদৌ কি ভালো লাগে?’ এর পরের টুইটেই তিনি আবার মোদী ও শাহের বিরুদ্ধে দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগ আনেন৷
আইপি সিং লেখেন, ‘দুই গুজরাটি ঠগস মিলে দেশের মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন৷’ তাঁর কথায়, তিনি ক্ষত্রিয় পরিবার থেকে উঠে এসেছেন৷ দুই গুজরাটি মিলে গত পাঁচ বছর ধরে হিন্দি বলয়ের মানুষদের বোকা বানাচ্ছেন৷ আর ক্ষত্রিয়রা চুপ করে বসে৷ এখানেই না থেমে আরও একটি টুইটে তিনি লেখেন, গুজরাটের থেকে ছয়গুণ বেশি বড় উত্তরপ্রদেশ৷ রাজ্যের অর্থনীতি ৫ লাখ কোটির৷ যেখানে গুজরাতের অর্থনীতি ছুঁয়েছে ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটির ঘর৷
এভাবেই একের পর এক টুইটে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহকে সমালোচনায় বিদ্ধ করতে থাকেন তিনি৷ তবে দলে থেকে ‘দলের মুখ’-এর বিরুদ্ধে মুখ খোলায় এরপরই তাঁর ওপর নেমে আসে শাস্তির খাঁড়া৷ সাজা হিসেবে আইপি সিংকে ছয় বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে৷ এর প্রতিক্রিয়ায় আইপি সিং জানান, সত্যি বলার পুরস্কার পেলেন তিনি৷ তাঁর কথায় ‘মিডিয়া থেকে বহিস্কারের কথা জানতে পারি৷ তিন দশক ধরে বিজেপির হয়ে কাজ করে গিয়েছি৷ কিন্তু দলে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই৷ তাই সত্যি কথা বলা অপরাধ৷’
উল্লেখ্য, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব আজমগড় থেকে প্রার্থী হওয়ার পর আইপি সিং তাঁকে অভ্যর্থনা জানিয়ে ছিলেন। সেটাও যে দল ভালোভাবে নেয়নি সোমবারই তাঁর প্রমাণ মিলল।