‘আচ্ছে দিন’-এ বসে গেছে জেট এয়ারওয়েজের ৭৮টি বিমান। কারণ বহুদিন ধরেই আর্থিক সমস্যায় ভুগতে ভুগতে এখন ঋণে জর্জরিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই বিমান পরিবহণ সংস্থাটি। পরিস্থিতি এমনই যে তিন মাস বেতন পাননি পাইলট ও ইঞ্জিনিয়াররা। নরেশ গোয়েলের এই সংস্থা গত ২৫ বছরে সবথেকে খারাপ আর্থিক অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। প্রায় সাত হাজার কোটি টাকার দেনায় চলছে এই সংস্থা। তবে অবশেষে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নেতৃত্বাধীন ঋণদাতা ব্যাঙ্কগুলি বৈঠক করে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে জেটকে সবুজ সংকেত দিয়েছে। এর জন্য সংস্থার কর্ণধার নরেশ গোয়েলের পদত্যাগের দাবি জানানো হয় বৈঠকে।
তারপরেই পদত্যাগ করলেন জেট এয়ারওয়েজ লিমিটেডের কর্ণধার নরেশ গোয়েল এবং তাঁর স্ত্রী অনিতা গোয়েল। ঋণে জর্জরিত জেট সংস্থার দায়িত্ব সিইও বিনয় দুবের ঘাড়ে বর্তাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, সুখবর রয়েছে জেট কর্মচারিদের জন্য। ওই সংস্থাকে বাঁচাতে আরও এক বার ঋণ দেওয়া সুযোগ দিচ্ছে ঋণদাতা ব্যাঙ্কগুলি।
বহুদিন ধরেই ঋণে জর্জরিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমান পরিবহণ সংস্থা জেট এয়ারওয়েজ। জানা গেছে, বিমানের ভাড়া মেটাতে না পেরে গত কয়েকদিনে একের পর এক বিমান বসিয়ে দিয়েছে তারা। যার জেরে এই মুহূর্তে দেশে মাত্র ৪১টি বিমান চলছে তাদের। পরিস্থিতি এমনই যে তিন মাস বেতন পাননি পাইলট ও ইঞ্জিনিয়াররা।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বেড়েছে কেন্দ্রীয় সরকারেরও। নির্বাচনের আগে জেট কর্তৃপক্ষ নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাবমূর্তি যে নষ্ট হবে, তা বলাই বাহুল্য। কারণ তাতে যেমন একধাক্কায় বিমান যাত্রার খরচ অনেকটাই বেড়ে যাবে। তেমনি জেটের প্রায় ২৩ হাজার কর্মী কর্মহারা হবেন। যা দেশে বেকারত্বের হার আরও খানিকটা বাড়িয়ে দেবে।