প্রার্থী তালিকা প্রকাশের আগে গোষ্ঠীকোন্দল ছিলই। দীর্ঘ টালবাহানার পর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হতেই সেই কোন্দল তুঙ্গে। কোচবিহার, উত্তর মালদার পর এবার জলপাইগুড়ি ও মথুরাপুরেও প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন কর্মীরা। উঠল প্রার্থী বদলের দাবিও। প্রার্থী প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনে নামেন মথুরাপুরের বিজেপি কর্মীরা। নামখানা মণ্ডল, কুলপি,মন্দিরবাজার, উস্থি, মগরাহাট-সহ বিভিন্ন এলাকায় পথে নেমে প্রার্থী বদলের ডাক দিয়ে বিক্ষোভ চলছে।
এবার মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী শ্যামাপ্রসাদ হালদার। যা না-পসন্দ স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের। প্রার্থী বদলের দাবিই নয়, জেলা বিজেপি সভাপতির বিরুদ্ধেও একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা। জোড়া অভিযোগে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান মথুরাপুরের বিজেপি কর্মীরা। বিক্ষোভ আন্দোলনে শুধুমাত্র যে কর্মীরা ছিলেন এমনটা নয়, বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বও। তাঁদের হুঁশিয়ারি প্রার্থী বদল না হলে নির্দল প্রার্থী দিতেও দ্বিধা করবেন না।
আবার জলপাইগুড়িতেও উঠেছে প্রার্থী বদলের দাবি। জেলার দলীয় অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করে প্রার্থী বদলের দাবি করেন বিজেপি নেতা তথা গত বিধানসভার নির্বাচনে রাজগঞ্জের প্রার্থী প্রকাশ রায়। শনিবার সন্ধ্যার মুখে উত্তরবঙ্গের পর্যবেক্ষক রথীন্দ্রনাথ বোসের উপস্থিতিতেই ওই দাবি তোলেন তিনি। প্রকাশের দাবি, তিনি-সহ ২৬ জন প্রার্থী হওয়াপ আবেদন করেছিলেন। জয়ন্তকুমার রায়কে ভোটাররা চেনেন না।
বসিরহাটে সায়ন্ত বসুর বিরুদ্ধেও পড়েছে পোস্টার। বিজেপির তরফে দেওয়া পোস্টারে দাবি করা হয়েছে, স্থানীয় নেতাকে প্রার্থী করতে হবে। উল্লেখ্য, দিল্লী থেকে নিশীথ প্রামাণিকের নাম ঘোষণা হতেই বিদ্রোহ শুরু হয় কোচবিহারে। ভাঙচুর চলে দলের জেলা অফিস, জেলা সভাপতির গাড়িতে। হুগলিতে তাঁকে প্রার্থী না করায় রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন রাজকমল পাঠক। বীরভূমে আবার দুধকুমার মণ্ডলকে প্রার্থীপদ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়ের অনুগামীরা। সবমিলিয়ে গোটা রাজ্যজুড়েই এই মুহূর্তে অন্তর্কলহে জেরবার গেরুয়া শিবির। যা সামাল দিতে গিয়ে নাভিশ্বাস বিজেপি নেতৃত্বের।