বাংলার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শিক্ষাকে পাখির চোখ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর হাত ধরেই শিক্ষা ব্যবস্থায় এসেছে উন্নয়নের জোয়ার। চালু হয়েছে কন্যাশ্রী প্রকল্প। এসেছে বেশ কিছু নতুন বিশ্ববিদ্যালয়। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও উদ্যমী হয়েছেন মমতা।
২০১১ পর্যন্ত রাজ্যে ছিল ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়, সেখানে গত সাত বছরে রাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৩০। ০১৮-১৯ অর্থবর্ষে উত্তর ২৪ পরগনায় হরিচাঁদ গুরুচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয়, নদীয়ার কৃষ্ণনগরে কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয় এবং হুগলী জেলায় গ্রীন বিশ্ববিদ্যালয় তৈরী করা হচ্ছে। আলিপুরদুয়ার জেলায় আরও একটি নতুন সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ তৈরী হচ্ছে।
২০১০-১১ সালের গ্রস এনরোলমেন্ট রেশিও ১২.৪ এর তুলনায় ২০১৭-১৮ সালে বেড়ে হয়েছে ১৮.৭। মেয়েদের উচ্চশিক্ষায় অনুপাত ২০১০-১১ সালে ৪২ শতাংশের তুলনায় ২০১৬-১৭ তে বেড়ে হয়েছে ৪৭.৩ শতাংশ। ২০১০-১১ সালের ১৩.২৪লক্ষের তুলনায় ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে উচ্চশিক্ষায় পড়ুয়ার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০.৩৬ লক্ষ।
সমস্ত সরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণসময়ের শিক্ষকদের পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। মহিলা শিক্ষিকাদের জন্য চাইল্ড কেয়ার লিভ ও পুরুষ শিক্ষকদের জন্য পিতৃত্বকালীন ছুটি শুরু করা হয়েছে। উচ্চ শিক্ষা খাতে আগামী শিক্ষা বর্ষে ৩৯৬৪ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। দার্জিলিং জেলায় সরকারি স্পন্সরড আরও দুটি কলেজ চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যে মোট সরকারি স্পন্সর্ড কলেজের সংখ্যা হল ৪৫০। সরকারি কলেজের সংখ্যা ৫৭ এবং সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সংখ্যা হল ৮।