রায়গঞ্জ-মুর্শিদাবাদ আসন দুটি নিয়ে তখনও দর কষাকষি চলছে দু’পক্ষের। আসন্ন লোকসভা ভোটে বাংলায় দু’দল আসন সমঝোতায় যাবে কিনা, তা নিয়ে বিধান ভবন ও আলিমুদ্দিনের মধ্যে বিস্তর আলোচনা চলছে। কিন্তু সে সময় হঠাতই এক তরফা ২৫ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছিলেন বামেরা। সেই ‘অপমান’-এর পাল্টা হিসেবে সোমবারই আসন সমঝোতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাজ্যের ১১টি কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে কংগ্রেসের। এমনকি রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস এককভাবে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে৷ তাই আসন রফার প্রক্রিয়ায় এভাবে জট পেকে যাওয়ায় হাল ছেড়ে দিয়ে কংগ্রেসের জেতা চারটি আসন ফাঁকা রেখেই আজ দ্বিতীয় দফায় বাকি ১৩ আসনে প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করে ফেলল আলিমুদ্দিন। ইতিমধ্যেই সেই ১৩ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু।
প্রথম দফার ২৫ আসনের যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছিল বামেরা, তাতে তারুণ্য ছিলই না। দ্বিতীয় দফাতেও নতুন কোনও মুখ নয়৷ দু’-একজন বাদে সেই পুরনো মুখেই ভরসা রাখল রাজ্য বামফ্রন্ট৷ তবে কংগ্রেসের চারটি আসন ছাড়া প্রসঙ্গে বিকেল সওয়া চারটের সময় ফ্রন্ট চেয়ার ম্যান বিমান বসু বলেন, ‘আমরা এই চারটি ফাঁকা রাখছি। কংগ্রেস পার্টি যদি তাঁদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে তাহলে আমাদের তালিকাতেও পরিবর্তন হতে পারে।’ তবে একইসঙ্গে তিনি এ-ও জানিয়ে দেন, ‘ওই চারটি আসনে প্রার্থী দিইনি বলে পরেও দেব না, তেমনটা নয়৷ পরে ওই চারটি আসন নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে৷’ তাঁর আরও মন্তব্য, ‘তেমন পরিস্থিতি হলে, প্রার্থীতালিকায় রদবদল করা হবে৷ প্রয়োজনে ৪২টি আসনের তালিকাই নতুন করে ঠিক করা হবে৷’
এক নজরে বামেদের দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা:
দার্জিলিং – সমন পাঠক
ঝাড়গ্রাম – দেবলীনা হেমব্রম
কৃষ্ণনগর – শান্তনু ঝা
হাওড়া – সুমিত্র অধিকারী
শ্রীরামপুর – তীর্থঙ্কর রায়
উত্তর কলকাতা – কনীনিকা ঘোষ
বাঁকুড়া – অমিয় পাত্র
আসানসোল – গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়
তমলুক – শেখ ইব্রাহিম
কাঁথি – পরিতোষ পট্টনায়েক
বোলপুর – রামচন্দ্র ডোম
ব্যারাকপুর – গার্গী চট্টোপাধ্যায়
মথুরাপুর – শরৎ হালদার