স্বপ্নার জন্যই জার্মানির একটি খেলার সরঞ্জাম তৈরির সংস্থা বিশেষ জুতো তৈরি করেছিল। সেটা পরার পরে দু’পায়েরই ছয় নম্বর আঙুলটা আর কড়ে আঙুলের উপর উঠে তাঁকে অস্বস্তিতে ফেলছিল না। দু’পায়ের বারো আঙুলের জন্য তৈরি ইভেন্ট প্রতি ২ জোড়া করে এই বিশেষ জুতো পরেই দোহায় এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ফের সোনার স্বপ্ন দেখেছিলেন স্বপ্না বর্মন। পাতিয়ালায় ফেডারেশন কাপের হেপ্টাথলন ইভেন্টে সোমবার স্বপ্নার সামনে দুটো লক্ষ্য ছিল। সোনা জেতা এবং দোহায় ২১-২৪ এপ্রিল এশীয় চ্যাম্পিনশিপে দেশের হয়ে নামার ছাড়পত্র। দু’টোতেই জলপাইগুড়ির মেয়ে সফল।
তবে তাঁর পয়েন্ট ভাল হল না। জাকার্তা এশিয়ান গেমসে করেছিলেন ৬০২৬। এ বার করলেন ৫৯০১। স্বপ্না বলছেন, ‘‘হ্যামস্ট্রিং এ সমস্যা ছিল। তাই গতি বাড়ানোর উপর জোর দিইনি। হাইজাম্পে যা করেছি তার চেয়ে বেশি করতে পারতাম। কলকাতায় দু’বার স্যরের কাছে ট্রায়াল দিয়ে ৫৮০০ করেছি। নিশ্চিত ছিলাম দোহায় যাওয়ার ছাড়পত্র আদায় করে নিতে পারব।’’
এশীয় পর্যায়ে সোনা জয়ের হ্যাটট্রিক চান স্বপ্না বর্মণ। দোহায় এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ছাড়পত্র পাওয়ার পর সোনার মেয়ে পাতিয়ালা থেকে ফোনে বলে দিলেন, ‘‘ভুবনেশ্বরে আগের এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতেছিলাম। এরপর এশিয়াডে সোনা জিতেছি। এ বার দোহায় সোনা জিতে এশীয় পর্যায়ে টানা তিনটে সোনা জিততে চাই। এটাই এখন একমাত্র লক্ষ্য আমার।’’
৪০০ মিটারে সোনা পেলেও দিনটা ভাল গেল না হিমা দাসের। তিনি সময় করলেন ৫২.৮৮ সেকেন্ড। যা তাঁর জাতীয় রেকর্ড ৫০.৭৯ সেকেন্ডের চেয়ে বেশি। এই ইভেন্টে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে যোগ্যতা অর্জনের সময় রাখা ছিল ৫২.৭৫ সেকেন্ড। ফলে আপাতত যোগ্যতা অর্জন হয়নি অসমের মেয়ের। যদিও হিমা আশাবাদী, তাঁর পুরনো ফল বিবেচনা করে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের দলে রাখা হতে পারে তাঁকে। হিমা বলছেন, ‘‘পরীক্ষার জন্য ঠিক মতো অনুশীলন হয়নি। তা ছাড়া পিঠে যন্ত্রণা রয়েছে। এ বার জাতীয় শিবিরে সময় উন্নত করতে হবে।’’