ভোটের জন্যে দলের কর্মীদের একজোট হয়ে কাজের নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূল। পঞ্চায়েত সদস্যদের নিজের চেয়েও বেশি ভোটে লোকসভা ভোটে জেতানোর দায়িত্ব দিল তৃণমূল। একইভাবে সমিতি এবং জেলা পরিষদ সদস্যদেরও মাস কয়েক আগে পঞ্চায়েত ভোটের ব্যবধানের চেয়ে বেশি ভোটে সংসদীয় ভোটের প্রার্থীকে জেতানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বারুইপুরে রবীন্দ্র ভবনে কর্মীসভায় বলা হয়, মিমি কত ভোটে জিতবেন তা স্থানীয় কর্মীরাই স্থির করে দেবেন। যেহেতু সারাবছর পঞ্চায়েতে সদস্যরা এবং পুরসভায় কাউন্সিলররা মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন তাই দায়িত্ব তাঁদের বেশি। তাই সব পঞ্চায়েত সদস্যকে নিজে যে ভোটে জিতেছিলেন তাঁর থেকে বেশি ভোটে লোকসভা প্রার্থীকে জেতাতে হবে।
এর আগে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও বলেছেন, ওয়ার্ড থেকে প্রার্থীদের জেতানোর দায়িত্ব কাউন্সিলরদের। যে কাউন্সিলর জেতাতে পারবেন না, তিনি যে আর টিকিট পাবেন না তা নিশ্চিত। স্পিকার বিমানবাবু এই লোকসভায় ৪১ শতাংশ মহিলা প্রার্থী দেওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, “সংবিধান নারীর ক্ষমতায়নকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে বলেছে। এত বছর ধরে দেশের কোনও দল এত বেশি সংখ্যক মহিলা প্রার্থী দিতে পারেনি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মিমির মত অনেক মহিলা প্রার্থী দিয়ে বাংলা তথা দেশে নজির গড়েছেন। তাই এবার মহিলারা দু’হাত ভরে জোড়াফুলকে সমর্থন করবেন।”