কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়ে গতকাল আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেন প্রচার শুরু করলেন। ডুবুরডিহি চেকপোস্ট থেকে এক বিরাট বাইক মিছিল করে কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে পুজো দিয়ে লোকসভা নির্বাচনের শুভ সূচনা করেন মুনমুন সেন। মন্দিরে সদ্য বিয়ে হওয়া এক দম্পতিকে আশীর্বাদও করেন মুনমুন সেন। এরপর তিনি এক প্রচার মিছিলে অংশ নেন। আসানসোলের আশ্রম মোড় থেকে বহু মানুষের সঙ্গে মিছিলে পা মেলান মুনমুন সেন। আসানসোলর সিটি বাস স্ট্যান্ডে এদিন এক প্রচার সভার আয়োজন করা হয়। এদিনের এই সভায় মুনমুন সেনের সঙ্গে আসানসোলের তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।
দ্বিতীয়বার তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে প্রচারে নিজের অভিনীত সংলাপকে কাজে লাগালেন মুনমুন সেন৷ প্রার্থীতালিকা ঘোষণা হওয়ার পর রবিবার আসানসোল থেকে প্রথম প্রচারে নামলেন এই বাঁকুড়ার গতবারের বিদায়ী সাংসদ মুনমুন৷ সেখানেই জনগণের সামনে তুলে ধরলেন তাঁর অভিনীত ‘অমর কন্টক’ সিনেমার বিখ্যাত গানের দুটি লাইন – ‘অন্ধকারে আলো দিতে পুজোর প্রদীপ হয়ে জ্বলো। নিজের কথা ভুলে গিয়ে মানুষেরই কথা বলো।’
২০১৪-এ তিনি লড়াই করেছিলেন বাঁকুড়া থেকে৷ হারিয়েছিলেন প্রখ্যাত সিপিআই নেতা বাসুদেব আচারিয়াকে৷ এবার তাঁর কেন্দ্র বদল হয়েছে৷ লড়ছেন আসানসোল কেন্দ্র থেকে৷ গতকাল তিনি মহামিছিলে হাঁটলেন, কখনও সাধারণ মানুষের মতো রিকশায় চেপে পড়লেন। চড়লেন ম্যাটাডোর ভ্যানেও৷ সব শেষে মঞ্চে উঠে বললেন, ‘মাথার ওপর সূর্য থাকে, যে দিনের শেষে ডুব দেওয়ার আগে অনেক কিছু শিখিয়ে দিয়ে যায়। সেই সূর্য ছিলেন মা। এখন সূর্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আমি তাঁর চাঁদ। তিনিই এখানে পাঠিয়েছেন। চারপাশে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা সবাই তারকা।’ এপ্রসঙ্গে মুনমুন সেন মলয় ঘটক, ভি শিবদাসানি, জিতেন্দ্র তিওয়ারি অর্থাৎ আসানসোলের তৃণমূল নেতৃত্বকে কৃতিত্ব দিয়ে জানিয়েছেন, ‘এঁরা সব রিয়েল স্টার। মানুষের জন্য কাজ করেন।’ এরপর তিনি যখন বলেন, ‘মানুষের ভালবাসা নিয়ে এখানে গ্রামে গ্রামে গিয়ে একসঙ্গে কাজ করব’, তখন করতালিতে ভরে ওঠে মঞ্চ।