আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ‘সাইলেন্ট পিরিয়ড’ নিয়ে আরও কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। কি এই ‘সাইলেন্ট পিরিয়ড’? ভোটের আগের ৪৮ ঘণ্টা সময়কে নির্বাচন কমিশনের ভাষায় বলা হয় ‘সাইলেন্ট পিরিয়ড’। আগামী ১১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়ার সাত দফা ভোটের সাইলেন্ট পিরিয়ডে কোনও রাজনৈতিক দল তাদের নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করতে পারবে না। আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে ভোটের প্রথম দফার মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া।
গতকাল নির্বাচন কমিশন জানায়, ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে রাজনৈতিক নেতারা, ভোটের প্রার্থীরা মিডিয়ার সামনে আসতে পারবেন না এমনকি কোনো সাক্ষাৎকার দিতে পারবেন না। যদি এমনটা হয় তবে, আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হবে। কেবল রাজনৈতিক নেতারাই নয়, প্রচারে যুক্ত স্টার ক্যাম্পেনার বা তারকা প্রচারকরাও ‘সাইলেন্ট পিরিয়ডে’ মিডিয়ায় নির্বাচন নিয়ে কিছু বলতে পারবেন না।
নির্বাচনের প্রচারের ক্ষেত্রেও এবার কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে কমিশন। ভোটপর্ব চলাকালীন রাত ১০টার পর কোনওভাবেই মাইক বাজিয়ে অথবা গাড়িতে মাইকে বেঁধে প্রচার করা যাবে না। তবে সকাল ছটা থেকে রাত ১০টা, দিনের এই ১৬ ঘণ্টা মাইক বাজিয়ে প্রচার করা যাবে বলেই জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সব রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারকে দেওয়া চিঠিতে কমিশনের অন্যতম সচিব এন টি ভুটিয়া জানিয়েছেন, “ভোট যেহেতু একাধিক দফায় হচ্ছে, তাই স্বাভাবিকভাবেই এক একটি এলাকার জন্য সাইলেন্ট পিরিয়ডও হবে পৃথক। তবে যেদিন যেখানে ভোট, সেদিন সেখানে রাজনৈতিক নেতা বা তারকা প্রচারকদের মিডিয়ার সামনে আসার ব্যাপারে সংযত হতে হবে। একইভাবে যেখানে ভোট নেই, সেখানে দাঁড়িয়েও আগামী ৪৮ ঘণ্টা পরে যেসব কেন্দ্রে ভোট, সেখানকার প্রসঙ্গ উল্লেখ করা যাবে না”।
রাজনৈতিক দলগুলি যাতে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন না করে, তার অনুরোধ করেছে কমিশন। মিডিয়ার সামনে না আসলেও আসা সোশ্যাল মিডিয়াতে কীভাবে আটকানো গতিবিধি তার জেরে চিন্তায় পড়েছে কমিশন। তাই আগামী মঙ্গলবার বিশেষ বৈঠক ডেকেছেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। ফেসবুক, হোয়াটঅ্যাপ, ট্যুইটার, ইনস্টাগ্রাম, গুগলের মতো সোশ্যাল মিডিয়ার ভারতে নিযুক্ত প্রধানদের কমিশনের ফুল বেঞ্চের সামনে বৈঠকে আসতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।