খারাপ সময় যেন পিছুই ছাড়ছে না মোদী-শাহদের। গত সপ্তাহেই লোকসভা ভোট ঘোষণা করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু ভোটের মুখে আবারও বেকায়দায় গেরুয়া শিবির। এবার ছত্তিশগড়ে ধাক্কা খেল বিজেপি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা রমন সিং-এর জামাই পুনিত গুপ্তার বিরুদ্ধে ৫০ কোটি টাকা আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগ, সরকারি হাসপাতালের সুপার থাকাকালীন সহযোগীদের সাহায্যে ওই ৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি।
এই ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন রায়পুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রফুল্ল ঠাকুর। জানা গেছে, হাসপাতালের কার্যকরী সুপার কমল কিশোর সাহারে পুনিতের বিরুদ্ধে গোলেবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগ, রায়পুরের ডিকেএস পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইন্সটিটিউট অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার বা ডিকেএস সরকারি হাসপাতালের সুপার থাকার সময় পুনিত এবং তার সহযোগীরা প্রতারণা এবং জালিয়াতি করে ওই বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছিলেন। যার ফলে রাজ্যের কোষাগারে বিশাল ঘাটতি দেখা দিয়েছিল।
এসিপি ঠাকুর আরও জানিয়েছেন, কমল কিশোর সাহারের তরফে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরই তদন্ত কমিটি অনুসন্ধানে নামে। সরকারের কাছে কমিটির জমা দেওয়া রিপোর্টে, পুনিতের বিরুদ্ধে আর্থিক নয়ছয়ের তথ্য মিলেছে। পুনিত এবং তার অভিযুক্ত সহযোগীদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৯ (সরকারি আমলার দ্বারা বিশ্বাসভঙ্গ করে অপরাধ করা), ৪২০ (প্রতারণা), ৪৬৭ (দামি সম্পত্তির জালিয়াতি), ৪৬৮ (প্রতারণা করার জন্য জালিয়াতি) এবং ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র)-এর অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরেই ছত্তিশগড়ে কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় আসার পর পুনিত গুপ্তাকে রায়পুর মেডিক্যাল কলেজে বিশেষ দায়িত্বে বদলি করা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে অন্তগড় বিধানসভা উপনির্বাচনের ফলাফলে কারচুপিতে জড়িত থাকার অভিযোগ দায়ের করেছেন এক কংগ্রেস নেতা। সেই মামলা দায়ের হওয়ার পরই গত ফেব্রুয়ারিতে পদত্যাগ করেছেন পুনিত। জানা গেছে, শুধু আর্থিক নয়ছয়ই না, সরকারি নিয়ম ভেঙে হাসপাতালে নিয়োগের অভিযোগও রয়েছে পুনিতের বিরুদ্ধে।