মঙ্গলবারই বাংলায় তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবারও বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন অভিনেত্রী শতাব্দী রায়। বৃহস্পতিবার তারাপীঠে তারামায়ের পুজো দিয়ে এবং তারাপীঠ লাগোয়া ফুলিরডাঙা মাজারে চাদর চাপিয়ে প্রচার শুরু করে দিয়েছিলেন শতাব্দী। আর শুক্রবার তিনি জেলার অন্যতম সতীপীঠ সাঁইথিয়ার নন্দিকেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়ে দ্বিতীয় দিনের প্রচার শুরু করলেন।
গতকাল চড়া রোদের মধ্যেই তৃণমূলের এই তারকাপ্রার্থী সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সাঁইথিয়া, সিউড়ি ও দুবরাজপুর এলাকা চষে বেড়ালেন। শুক্রবার সকালে সাঁইথিয়ায় এসে নন্দিকেশ্বরী মন্দির ও পাশেই জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দেন শতাব্দী। এরপর স্থানীয় তৃণমূল কার্যালয়ে বসে সাঁইথিয়ার দলীয় নেতৃত্ব, বিধায়ক, পুরপ্রধান ও কাউন্সিলরদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচারের পরিকল্পনা নিয়ে তিনি আলোচনা করেন। তারপর সাঁইথিয়ার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁর নির্বাচনী দেওয়াল লিখনে ব্যস্ত দলের কর্মীদের কাছ থেকে রং তুলি নিয়ে নিজেও দেওয়াল লিখনে হাত লাগান শতাব্দী।
সাঁইথিয়ার পর সিউড়ি এবং দুবরাজপুরে যান তিনি। সাঁইথিয়ার মতোই সিউড়ি এবং দুবরাজপুরেও দলীয় কার্যালয়ে বসে স্থানীয় পুরপ্রধান, সমস্ত কাউন্সিলর ও দলের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই ৩ শহরেই শতাব্দীকে দেখতে রাস্তায় কৌতূহলী মানুষের ভিড় জমে যায়। তাঁদের উদ্দেশ্যে হাসিমুখে হাত নাড়িয়ে সৌজন্য বিনিময়ও করেন তৃণমূলের এই তারকা প্রার্থী।
বীরভূম কেন্দ্রে টানা তৃতীয়বারের জন্য দলের প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণার পর বৃহস্পতিবারই শিশুকন্যা সামিয়ানাকে নিয়ে জেলায় প্রথম পা রাখেন শতাব্দী। এরপর প্রথম দিন থেকেই শুরু করে দেন প্রচারের ঝোড়ো ইনিংস। নিজের জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী শতাব্দী জানান, এই কেন্দ্রে এবার তাঁর তাঁর জয়ের ব্যবধান এবার আরও বেশি হবে বলে তিনি নিশ্চিত।
অন্যদিকে, তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ইতিমধ্যেই জানিয়ে রেখেছেন, বীরভূমে দল সাত লক্ষেরও বেশি ভোটে জিতবে। তিনি আরো জানিয়েছেন, ‘দিদির প্রার্থী আমাদের সকলের প্রার্থী। তাঁকে বিপুল ভোটে জয়ী করার জন্যে আমরা সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ব।’