মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের তরফে মুর্শিদাবাদ-ঝাড়খণ্ড সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে নাকা চেকিং ব্যবস্থা চালু করা হল। গতকাল সকাল থেকে ফরাক্কা ব্লকের ঝাড়খণ্ড লাগোয়া তিনটি জায়গায় নাকা চেক পোস্ট চালু করা হল। ওই তিনটি জায়গাতেই ঝাড়খণ্ড থেকে পশ্চিমবঙ্গগামী এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে ঝাড়খণ্ডগামী সমস্ত বাইক, লরি, বাস সমস্ত গাড়িতেই চিরুনি তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ওই তিনটি জায়গা হল ফরাক্কার বেওয়া ব্রিজ, বাহাদুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদর এবং ইমামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের আমতলায়। এমনকী সন্দেহভাজন মনে হলে সাধারণ মানুষও বাদ পড়ছে না। চেক করা হচ্ছে ব্যাগও।
নির্বাচনের আগে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করতে গত ১১ মার্চ যৌথভাবে বিশেষ প্রশাসনিক বৈঠক করে দুই রাজ্যের পুলিশ–প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকরা। এপ্রসঙ্গে ফরাক্কা থানার আই সি উদয় শঙ্কর ঘোষ জানান, “ঝাড়খণ্ড–বাংলা সীমান্ত এলাকা থেকে বিভিন্ন সময়ে অস্ত্র কারবারি থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের ধরা হচ্ছে। ভোটের আগের মুহূর্তে যে কোনও ধরনের অপরাধ বন্ধ করতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করতে নাকা চেকিং ব্যবস্থা চালু করা হল”। ওই বৈঠকের পর মুর্শিদাবাদ জেলার বাংলা–ঝাড়খণ্ড সীমান্তে সব ধরনের অপরাধ কমানো ও অপরাধীদের ধরতে বিশেষ তাৎপরতা চালাতে শুরু করে জেলা পুলিশ। গতকাল থেকে শুরু হল নাকা চেকিং ব্যবস্থা। ঝাড়খণ্ডেও অনুরূপভাবে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নানা পদক্ষেপ করেছে নির্বাচন কমিশন। পূর্ব মেদিনীপুরের সীমান্ত এলাকায় দুষ্কৃতীদের আনাগোনা রুখতে কড়া নজর রয়েছে। আইন–শৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য শুরু হয়েছে বাহিনী টহলও। শুক্রবার সকালে জেলায় এসে পৌঁছয় এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। রামনগর বিধানসভা এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে এই বাহিনীকে। বিকেলে বাংলা–ওডিশা সীমানায় টহল দেওয়া শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন, “আপাতত এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। বাংলা–ওডিশা দুই রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকায় শান্তি–শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর আগাম টহলদারিতে জোর দেওয়া হয়েছে। বাহিনী রাতে ও দিনে নাকা চেকিং চালাবে। থাকবে ক্যামেরা নজরদারিও”।