গত নভেম্বরে জার্মানি বিশ্বকাপে তিনি দিয়েছিলেন ‘হ্যান্ড স্প্রিং ফরোয়ার্ড ৩৬০ ডিগ্রি’। সেই ভল্টে রুপো জিতে এসেছিলেন। গত দু’মাস ধরে আগরতলাতে নীরবে প্রস্তুতি নিয়েছেন দীপা নতুন ভল্ট নিয়ে৷ প্রোদুনোভা নয়, ‘হ্যান্ড স্প্রিং ফরোয়ার্ড ৫৪০ ডিগ্রি’ নতুন ভল্টে বাজিমাত দীপার। নতুন এই ভল্ট দিয়ে আজেরবাইজানে বাকু বিশ্বকাপের ফাইনালে তিনি।
গত বছর জার্মানি বিশ্বকাপে দীপা ব্রোঞ্জ জিতে ফিরে এসেছিলেন। এ বার পদকের রং বদলানোর দিকে লক্ষ্য। রিও অলিম্পিকের চতুর্থ হওয়া জিমন্যাস্টের লক্ষ্য টোকিও অলিম্পিকে টিকিট যোগাড় করা। সেই টিকিটের জন্য দীপাকে বাকুতে কমপক্ষে রূপো নিয়ে ফিরতে হবে। তারপরে রয়েছে দোহা বিশ্বকাপ। শেষে অক্টোবরে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ। সেখানেই শেষ সুযোগ।
কোয়ালিফিকেশনে দীপার পরে উজবেকিস্তানের ৪২বছরের জিমন্যাস্ট ওকসানা। এরপরে দীপার পদক জেতাটা কতটা সম্ভব? প্রাক্তন জিমন্যাস্ট টুম্পা দেবনাথ উচ্ছ্বসিত দীপার পারফরম্যান্সে। বললেন, ‘দীপা নতুন ভল্ট দিয়েছে। এই ভল্টের পয়েন্ট ভ্যালু বেশি। সে জন্য স্কোর বেশ ভালো হয়েছে। কোয়ালিফিকেশনে দীপার এই পারফরম্যান্সের থেকে আরও একটু ভালো করলে রুপো জেতা কষ্টকর কিছু নয়। তবে জিমন্যাস্টিক্স বলে কথা। ফাইনালের দিনটার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে।’
দেশের প্রথম সারির জিমন্যাস্টিক্স কোচ মিনেরা বেগমও পদকের আশায় বসে রয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘কোয়ালিফিকেশনের স্কোর সত্যি ভালো করেছে দীপা। ফাইনালে এক্সিকিউশন ঠিকঠাক করতে পারলে পদকে আসতেই পারে। তবে ফাইনাল কিন্তু আরও কঠিন হবে।’
কতটা কঠিন, তা অবশ্য দীপার কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দী বাকু যাওয়ার আগেই বলে গিয়েছেন। সামনের দুটো বিশ্বকাপ বাকু ও দোহা থেকে একজন জিমন্যাস্ট টিকিট পাবেন অলিম্পিকের। পরপর দুটো বিশ্বকাপে সোনা জিতলে দীপা টিকিট পেতে পারেন। কিন্তু পদকের রং বদলে গেলে সেখানে সমস্যা বাড়তে পারে দীপার।