জোরকদমে বেজে উঠেছে ভোটের বাদ্য। শুরু হয়ে গেছে প্রস্তুতি। এবারের ভোটে যে ৪২-এ ৪২ করার নির্দেশ ইতিমধ্যেই দিয়ে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই নাম ঘোষণা হতেই যে যার মত করে নেমে পড়েছেন প্রচারে। এবার জলপাইগুড়ির তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিজয় চন্দ্র বর্মণ। তিনিও নেমে পড়েছেন প্রচারে। তাঁর অন্যতম প্লাস পয়েন্ট স্বচ্ছ ভাবমূর্তি, ব্যাপক জনসংযোগ।
জলপাইগুড়ি লোকসভা নির্বাচনে ২০১৪ সালে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর সঙ্গে সিপিএম প্রার্থী মহেন্দ্র কুমার রায়ের মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল। বিজয়বাবু ৪৯৪৭৭৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন। তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী মহেন্দ্র কুমার রায় ৪২৫১৬৭ ভোট পেয়েছিলেন। জয়ের ব্যবধান ছিল ৬৯ হাজার ৬০৬ ভোট। বিজেপি প্রার্থী সত্যলাল সরকার তৃতীয় হয়ে ২২১৫৯৩ ভোট পেয়েছিলেন। এবারেও আশাবাদী তিনি। এলাকার মানুষও তাঁকে নিয়ে খুশি।
তৃণমূল কংগ্রেস গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলার অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি দখল করেছে। বিজেপি সহ অন্যান্য দলগুলি প্রার্থী এখনও চূড়ান্তই করতে পারেনি। তৃণমূল শিবির আগে ভাগে প্রার্থী ঘোষণা করায় তাদের দেওয়াল লিখন থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রথম দফার প্রচার শুরু করে দিয়েছে। বিজয়বাবু ২০১৪ সালে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর ওল্ড পুলিস লাইনে নিজের বাড়িতে ছাড়াও কাছেই সংসদ অফিস খুলে জনগণের সমস্যা শুনেছেন। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সমস্যার সমাধানেরও উদ্যোগ নিয়েছেন।
গত ৫ বছরের নিজের নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা তাঁকে ভোটের প্রচারে বাড়তি সুবিধা করে দেবে বলে তাঁর দলের দাবি। বিরোধীদের প্রার্থী কে হবেন তা নিয়ে এখনও সবাই অন্ধকারে থাকলেও শাসকদলের নেতা কর্মীরা ইতিমধ্যে প্রচারে নেমে পড়েছেন। তাই প্রচারের দৌড়েও এগিয়ে গিয়েছেন বিদায়ী এমপি তথা এবারের শাসকদলের প্রার্থী। রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন রেজিস্ট্রার তথা একজন শিক্ষাবিদ হিসেবে গত পাঁচ বছর আগে মুখ্যমন্ত্রীর নজরে পড়েন বিজয়বাবু।
গত ২০১৪ সালে প্রথমবার প্রার্থী হয়ে জিতেছিলেন। তেমন রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাও ছিল না। নির্বাচিত হওয়ার পর পাঁচ বছর ধরে মানুষের সঙ্গে থেকেছেন। স্থানীয় মানুষদের জন্য দিনরাত এলাকা ঘুরে ও সংসদ কার্যালয় খুলে মানুষের নানা সমস্যার সমাধান করে দিয়েছেন। বহু মানুষের হয়ে কাজ করার সুবিধা তাঁর কাছে একজন প্রার্থী হিসেবে প্লাস পয়েন্ট হিসেবেই দেখছে রাজ্যের শাসক শিবির।