১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় হওয়া জঙ্গী হামলার পর আবারও জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারকে ‘গ্লোবাল টেররিস্ট’ ঘোষণা নিয়ে তৎপর হয়েছে ভারত। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এ প্রসঙ্গে ভারতের পাশে থেকেছে আমেরিকা, ফ্রান্স, রাশিয়ার মতো ভেটোধারী দেশগুলিও। তবে বরাবরের মতো এবারও বাধ সেধেছে চিন। পাকিস্তানের পাশে থেকে এবার তাদের ল্যুক্তি, মাসুদকে গ্লোবাল টেররিস্ট ঘোষণায় ‘টেকনিক্যাল সমস্যা’ রয়েছে। এরপরই চিনের প্রতি আনুগত্য দেখাতে গিয়ে তিব্বতী ধর্মগুরু দলাই লামাকে জইশ জঙ্গী মাসুদ আজহারের সঙ্গে তুলনা করে বিতর্কে জড়ালেন এক পাক সাংবাদিক।
মাসুদ আজহারকে গ্লোবাল টেররিস্ট ঘোষণা নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় চিনের ভেটো প্রদানকে সমর্থন করে পাক সংবাদিক হামিদ মির লিখেছেন, একসময়ে দলাই লামাকেও জঙ্গী বলা হত। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে এই বর্ষীয়ান সাংবাদিক লেখেন, ‘কেন মাসুদ আজহারকে গ্লোবাল টেররিস্ট তকমা দেওয়ার বিরোধিতা করছে চিন, তা খুব স্পষ্ট। কারণ ভারতও একসময় চীনের ঘোষিত জঙ্গি দলাই লামাকে আশ্রয় দিয়েছে।’ উল্লেখ্য, ১৯৫৯ সালে তিব্বতে চিনের শাসনের বিরুদ্ধে যখন আন্দোলন শুরু হয়েছিল তখন দলাই লামা ভারতে পালিয়ে এসেছিলেন। তারপর থেকেই ভারতেই তিনি সসম্মানে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, জনপ্রিয় বৌদ্ধ ধর্মগুরু হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের থেকে একাধিক সম্মান পেয়েছেন দলাই লামা। ১৯৮৯ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারে সম্মানিত করা হয় তাঁকে। এভাবে তিব্বতীয় ধর্মগুরুকে জইশ জঙ্গী প্রধান মাসুদ আজহারের সঙ্গে তুলনা করায় টুইটারে কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে ওই পাক সাংবাদিককে। সেইসঙ্গে গোটা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়েই বইছে তিরস্কারের বন্যা।