বেজে উঠেছে ভোটের বাদ্য। এইবারের লোকসভা ভোটে বেশ কিছু নতুন নিয়ম এনেছে নির্বাচন কমিশন। যেমন এসেছে অভিযোগ জানানোর নতুন অ্যাপ তেমনই কমিশনের নির্দেশে প্রার্থীদের দিতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ার তথ্যও। এর সঙ্গেই কমিশনের নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে মনোনয়ন জমা দেওয়া থেকে শুরু করে ভোটগ্রহণের আগে পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রার্থীদের ফৌজদারি মামলার সবিস্তার তথ্য অন্তত তিন বার সংবাদ পত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে জানাতে হবে।
দু’বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা পাঁচ বছর ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না— এ সংক্রান্ত আইন আগেই তৈরি হয়েছিল। এ বার কোনও প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা থাকলে সেক্ষেত্রেও কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এখন আর শুধু কমিশনে জানানো নয়, সংবাদপত্র এবং টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দিয়ে জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট দলকে। তাও সাধারণ ভাবে নয়, অন্তত তিন বার বিজ্ঞাপন দিতে হবে। এবং বহুল প্রচারিত সংবাদপত্র এবং টিভি চ্যানেলে। এ বার লোকসভা ভোটে এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন।এ বারই প্রথম লোকসভা ভোটে কার্যকর হচ্ছে এই নয়া নিয়ম।
কমিশনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কেউ কোনও ফৌজদারি অপরাধের বিষয় গোপন করলে বা বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত নিয়ম ভঙ্গ করলে সেই প্রার্থীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে কমিশন। এমনকি, প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলও হতে পারে। কমিশনের আরও নির্দেশ, দলের ওয়েবসাইটেও এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ বাধ্যতামূলক।
রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে অনেক সময়ই প্রতিহিংসামূলক মামলা হয়। আবার নেতা-নেত্রীদের অপরাধে জড়িয়ে পড়ার নজিরও রয়েছে হুবহু। কিন্তু অপরাধ প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা অভিযুক্ত, তবে অপরাধী নন। তাই ভোটে দাঁড়াতে অসুবিধা নেই। কিন্তু প্রার্থীর বিরুদ্ধে যে ফৌজদারি অপরাধের মামলা রয়েছে এবং সেগুলি কতটা গুরুতর, সেটা ভোটারদের জানা উচিত। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই কারণেই এ বার কমিশনের এই নতুন নির্দেশিকা।