মোদী সরকারের নোটবন্দীর সিদ্ধান্তে সম্মতি ছিল না রিজার্ভ ব্যাঙ্কের। এতদিনে প্রকাশ্যে এই সেই সত্যি। জানা গেল, নোটবন্দীর পর থমকে গিয়েছিল দেশের অর্থনীতি।
একটি আরটিআইয়ের প্রেক্ষিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, নোটবন্দী ঘোষণা করার এক সপ্তাহ পর এই নিয়ে নিজের মতামত জানিয়েছিল আরবিআই। অর্থাৎ ৮ নভেম্বর রাতে নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার এক সপ্তাহ পর ১৬ নভেম্বর নোট বাতিল নিয়ে নিজের মতামত সরকারকে জানিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
নোট বাতিল ঘোষণার আড়াই ঘণ্টা আগে এই নিয়ে আলোচনা করতে মোদী রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অনুমোদন ছাড়াই ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করে দেন মোদী। যার জেরে রাতারাতি দেশের ৮০ শতাংশ অর্থ অচল হয়ে পড়েছিল। প্রায় থমকে গিয়েছিল দেশের অর্থনীতি।
এই ঘোষণার এক সপ্তাহ পর ১৬ নভেম্বর নোট বাতিল নিয়ে নিজের মতামত রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সরকারকে জানায়। জনস্বার্থের কথা ভেবেই মোদীর এই সিদ্ধান্তে সম্মতি জানানো হয়েছিল বলে জানিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ ব্যাঙ্ক।
নোট বাতিল নিয়ে বৈঠকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বোর্ডের সদস্যরা মোদীকে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় প্রভাব পড়বে বলে সতর্কও করেছিলেন। এমনকী তাঁরা জানিয়েছিলেন এই সিদ্ধান্তে দেশের জিডিপি–তে প্রভাব পড়বে। সেসব শোনার পরেও নোটবন্দীর সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন মোদী। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছিল, যে কালো টাকা ফেরানোর জন্য এই চরম পদক্ষেপ করা হচ্ছে সেই কালো টাকা কোনওভাবেই টাকা হিসেবে বাজারে ঘুরছে না, সেটা হয় সম্পত্তি অথবা সোনা হিসেবে রয়েছে। কাজেই নোটবন্দী বাতিল করে কালো টাকা ফেরানোর চেষ্টা করা বৃথা। কিন্তু মোদীর জেদের কাছে হার মানতে হয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে।
