গতকাল লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। নয়াদিল্লীর বিজ্ঞান ভবনে সংবাদিক বৈঠক করে এই ঘোষণা করা হয়। সারা দেশে মোট সাত দফায় ভোট হবে। ১১ এপ্রিল থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হবে এবং শেষ দফার ভোট হবে ১৯ মে। নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা হবে ২৩ মে। নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণা করার সঙ্গেই সারা দেশে চালু হয়ে গিয়েছে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি (এমসিসি)।
নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্ধারণের পর রাজনৈতিক দলগুলি কী করতে পারবে, কী পারবে না, তাই বলে দেয় এমসিসি। প্রথম এই নির্বাচনী আচরণবিধি প্রয়োগ করা হয় ১৯৬০ সালে কেরালায় বিধানসভা ভোটে। তারপর ১৯৭৯ সাল থেকে জাতীয় নির্বাচন কমিশন সব ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। আদর্শ নির্বাচন আচরণবিধি ভঙ্গ করলে জাতীয় নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট রাজনীতিক বা দলকে নোটিস পাঠায়। সেই নোটিসের পরিপ্রেক্ষিতে লিখিত উত্তর দিতে হয় অভিযুক্তকে।
কী কী করনীয় নয় এই আচরণবিধি অনুযায়ী তা জেনে নেওয়া যাক। এই বিধি অনুযায়ী কোনও সংবাদমাধ্যম বা গণমাধ্যমে সরকারের তরফে কোনও রকম বিজ্ঞাপন দেওয়া যাবে না। কোনও মন্ত্রী তাঁর এলাকা পরিদর্শন করতে পারলেও, তাঁর দফতরকে কোনো কাজে লাগিয়ে কোনও রকম উন্নতির কাজ করতে পারবে না। মন্ত্রী বা নেতারা প্রচারের কাজে সরকারি পরিবহণ ব্যবহার করতে পারবেন না। প্রচারে কোনওরকম সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানো যাবে না। ‘ইলেকশন সাইলেন্স’ অর্থাৎ ভোট শুরুর প্রথম দিনের ভোটদান পর্ব শেষ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা আগেই শেষ করতে হবে প্রচার। টাকা দিয়ে, ভয় দেখিয়ে, মিথ্যে কথা বলে প্রচার চালানো যাবে না। কোনও উন্মুক্ত প্রাঙ্গন বা হেলিপ্যাড বিরোধীরা ব্যবহার করতে চাইলে, তাতে বাধা দেওয়া যাবে না। বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোট শেষের ৪৮ ঘণ্টা আগে নিষিদ্ধ হয়ে যাবে মাইক, লাউড স্পিকারের ব্যবহার।