শনিবার জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের ৮৮টি ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকরা বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এরই মধ্যে ৫৫টি ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্ট রাজ্য সরকারের খরচায় চলছে বলে জানান মমতা। সেকারণেই উত্তরবঙ্গের মানুষ যাতে তাড়াতাড়ি বিচার পান সেকারণে জলপাইগুড়ির এই সার্কিট বেঞ্চ তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন করে আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, ‘আমিও আপনাদের গোত্রেরই। ব্যক্তিগত জীবনে আমি একজন আইনজীবী। কিন্তু সুযোগ পাই না। তাই প্র্যাকটিস করতে পারি না’। আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে তাঁর পরামর্শ, ‘একজন ল’ইয়ার একসঙ্গে এত কেস নিয়ে ফেলেন যে সামলাতে পারেন না। ভাবুন তো যাঁরা আসেন, তাঁরা কত কষ্ট করে পয়সা জোগাড় করেন। আমরা বলি কোর্টে ছুঁলে আঠারো ঘা। কত মানুষের ঘটিবাটি বিক্রি করে দিতে হয় মামলা লড়তে’।
বিচার ব্যবস্থায় ইংরাজি ভাষার থেকে স্থানীয় ভাষাকে গুরুত্ব দেওয়ার কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘আমাদেরকে আইনজীবী আছেন আইনটা বোঝেন। কিন্তু অতটা ভাল ইংরাজি জানেন না। তাঁর ব্যাপারটাও আমাদের ভাবা উচিত। কারণ আমাদের তো সবাই বাংলা মিডিয়ামে পড়েন। তাই ঝরঝরে ইংরাজি বলতে পারেন না’।
এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেও মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মমতা। তিনি বলেন, ‘রাজ্যে ৮৮টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট রয়েছে। তার মধ্যে ৫৫টি মহিলাদের জন্য। কিন্তু কেন্দ্র এই কোর্টগুলির সমস্ত টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা রাজ্য সরকারের খরচায় এগুলি চালাচ্ছি’। সরকারে আসার পর থেকে উত্তরবঙ্গের কী কী উন্নয়ন হয়েছে তাও জনগনের সামনে তুলে ধরেন মমতা। বলেন, ‘শুধু সার্কিট বেঞ্চ নয়। কলকাতায় চিড়িয়াখানা ছিল। কিন্তু উত্তরবঙ্গের মানুষের আক্ষেপ ছিল এখানে কেন তেমন কিছু নেই। আমরা বেঙ্গল সাফারি পার্ক করে দিয়েছি। গিয়ে দেখে আসবেন, খুব সুন্দর জায়গা।‘ তাঁর কথায়, ‘জলপাইগুড়ি জেলা পাহাড়, নদী, তিস্তা, দিস্তা, জঙ্গল মিলিয়ে প্রকৃতির ভূস্বর্গ’।
