প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মিথ্যা বলছেন বলে তোপ দাগলেন যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘অভিনন্দন বর্তমান অসীম ক্ষমতা ও নির্ভীকতার জোরে দেশে ফিরেছেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রী নিজের কৃতিত্ব দাবি করছেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এতই যদি ক্ষমতা তাহলে পাকিস্তান থেকে হাফিজ সইদকে ফিরিয়ে আনুন। ফিরিয়ে আনুন নীরব মোদীকে, মেহুল চোকসি, ললিত মোদীকে। দেখব ছাপান্ন ইঞ্চি বুকের ছাতির ক্ষমতা’।
ডায়মণ্ড হারবার ও বিষ্ণুপুরে একগুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্যাস করে এভাবেই মোদীকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘এভাবেই মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী। মানুষ এবারের লোকসভা ভোটে এর জবাব কড়ায় গণ্ডায় শোধ দেবে’। অভিষেকের কথায়, ‘কেন্দ্রের সরকার কেবল আচ্ছে দিনের ভাঁওতা দিয়েছে। পাঁচ বছর হতে চলল, কোনও উন্নয়নই হয়নি। বরং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কাজে লাগাতার বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে গিয়েছে’। বিজেপিকে কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, ‘ধর্মের নামে যারা রাজনীতি করে তাদের মানুষ ত্যাগ করেছেন। আমরা শুধু বুঝি, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। ধর্ম একটাই, তা হল মানবধর্ম’।
আগামী লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে পুনরায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করারও ইঙ্গিত দিয়েছেন বর্তমান সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সভা থেকে অভিষেক বলেন, ‘২০১৪ সালে এই আসন থেকে লড়াই করার সময় মানুষের সমস্যা দেখেছি। ৫ বছর ধরে তা সমাধান করার চেষ্টা করেছি। কথা দিয়ে যাচ্ছি, আগামী দিনে একইভাবে আপনাদের কোনও কাজের প্রয়োজন হলে সরাসরি আমাকে ফোন করবেন। মাঝখানে কারও রাখার প্রয়োজন নেই। কেন্দ্রের মোদী সরকারের তথ্য অনুযায়ীই সারা দেশের মধ্যে কাজে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রই প্রথম স্থানে রয়েছে।’
স্থানীয় কপাটহাট থেকে রাজারতালুক পর্যন্ত উন্নত ফুটপাথের শিলান্যাস করে অভিষেক বলেন, ‘এই কাজ আগামী পুজোর মধ্যে শেষ হবে। স্থানীয় জলপ্রকল্পে নোনা জলের সমস্যা সমাধানে নতুন যন্ত্র বসানো হবে। এখানে একটি বৃদ্ধাশ্রম গড়ে তুলবে পুরসভা।’ এদিন তিনি চড়িয়াল খালের সংস্কার থেকে ডায়মন্ড হারবারের সৌন্দর্যায়নের কথাও তুলে ধরেন। বিষ্ণুপুরের আমতলায় একটি আধুনিক বাস টার্মিনাস ও পানীয় জলের প্রকল্পের শিলান্যাস করেন অভিষেক। সেখানে তিনি মানুষকে লোকসভা নির্বাচনে দেশে ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গড়ার শপথ নেওয়ার ডাক দেন।
