দীর্ঘ ১৬ বছর আই লিগ অধরা। তবে ইস্টবেঙ্গলের তিনবার লিগজয়ী সৈনিকরা মনে করছেন আশা আছে। নেতিবাচক ধরে নিলে তো খেলার কোনো মানে থাকে না। গোকুলামের বিরুদ্ধে আই লিগের শেষ ম্যাচ খেলতে নামার আগেও ইস্টবেঙ্গল কোচকে দেখে মনে হচ্ছে তিনিও কোনো বাড়তি চাপ মাথায় নেননি। গোকুলাম ম্যাচের প্রস্তুতি সারছেন ইস্টবেঙ্গল। কোঝিকোড়ে আজ যখন ইস্টবেঙ্গল মাঠে নামবে তখন দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে অনেক ইস্টবেঙ্গল ভক্ত, তাঁদের সবার মন পড়ে থাকবে কোঝিকোড়ে। সকলেই মনে প্রাণে চাইবেন যে কাপ নিয়ে ঘরে ফিরুক ইস্টবেঙ্গল। আলেসান্দ্রোর ইস্টবেঙ্গল শেষপর্যন্ত আই লিগ জিতবে কিনা সেটা সময়ই বলবে।
ইস্টবেঙ্গলের তিনবার লিগ জয়ের গোলরক্ষক সংগ্রাম মুখোপাধ্যায় জানান, “মনে-প্রাণে চাই ইস্টবেঙ্গল জিতুক। অফিস খোলা থাকায় টিভিতে খেলা দেখতে পারবোনা তবে মোবাইলে দেখব”। তিনবার লিগজয়ী টিমের মধ্যে দু’বার সদস্য ছিলেন দীপেন্দু বিশ্বাস। তিনি জানান, “শেষ কয়েকবারের ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের সংগে তার ভাগ্য সহায় ছিল। শেষ ম্যাচেও যদি তেমনটা হয় তবে ইস্টবেঙ্গল চ্যাম্পিয়ন হবে”।
লাল হলুদের হেডমাস্টারের চোখে মুখে কোনো টেনশনের চিহ্ন মাত্র নেই। দীর্ঘ বিমানযাত্রার ক্লান্তি থাকায় দুপুরে হাল্কা অনুশীলন করিয়ে ফুটবলারদের ছেড়ে দেন তিনি। অন্যদিকে গোকুলামের বিরুদ্ধে স্টপারে জনির পাশে কার্ড সমস্যা মিটিয়ে ফিরছেন বোরজা। আক্রমণের ঝাঁজ বজায় রাখতে শুরু থেকে এনরিকে ও কোলাডোকে খেলাতে মাঝমাঠে কাশিমকে ব্যবহার করার সুযোগ থাকছে। প্রয়োজনে টোনি ডোভালে পরে নামবেন মাঠে। বরাবর আলেসান্দ্রো একটা কথাই বলে আসছেন, “হাতে যাঁরা আছেন, তাঁদের নিয়েই লড়তে হবে, যাঁরা নেই তাঁদের নিয়ে ভাবা অর্থহীন। আমাদের লক্ষ্য ৩ পয়েন্ট। তারপর যা হয় দেখা যাবে। আমরা না জিতলে অন্য ম্যাচের ফলেও কিছু আসে যাবে না”। এনরিকে চোট সারিয়ে ফেরা আর কোলাডোর যোগদানের পর আক্রমণভাগে বাড়তি জোস এসেছে, গোল বেড়েছে। দুপুরের অনুশীলনে কোনও ইস্টবেঙ্গল সমর্থকের দেখা মেলেনি। তবে আশা করা যায়, শনিবার বিকেলে গ্যালারিতে হাজির হয়র যাবে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। কলকাতা থেকে কন্যাকুমারি , লাল হলুদ সদস্য-সমর্থকদের রক্তচাপ যখন ক্রমশ বেড়েই চলেছে, ১৫ বছরের চ্যাম্পিয়ন না হওয়ার জ্বালা মিটবে কি মিটবে না সেটাই দেখার।