‘নোটবন্দীর পর বলেছিল সন্ত্রাসবাদ নির্মূল হবে৷ কিন্তু মোদীবাবুর জমানায় ২৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে সন্ত্রাসবাদ’৷ সন্ত্রাসবাদকে ইস্যু করে শুক্রবার নারী দিবসের কর্মসূচি শেষে ঠিক এই ভাষাতেই কেন্দ্রের মোদী সরকারকে আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কেন্দ্রে মোদী সরকারকে হঠানোর জন্য নারীদিবসের মঞ্চ থেকে রাজ্যের মহিলাদের শপথ নেওয়ার ডাক দেন তিনি।
মিছিল শেষে বক্তৃতা দিতে উঠে শুরু থেকেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান মমতা। তিনি বলেন, ‘গণপিটুনির নামে সমগ্র দেশে দলিতদের উপর অত্যচার চলছে৷ মহিলাদের উপর অত্যাচার চলছে৷ শ্রমিক, কৃষকদের উপর অত্যাচার চলছে’৷ অভিযোগ করেন, মুখে মহিলাদের উন্নয়নের কথা বললেও, মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ করতে ব্যর্থ কেন্দ্রীয় সরকার৷ এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘লোকসভায় ৩৫ শতাংশ তৃণমূলের মহিলা সাংসদ রয়েছে৷ অন্য কোনও দলের এত সংখ্যায় মহিলা সাংসদ নেই৷ এই পরিসংখ্যান আরও বাড়ানোর চেষ্টা করব’৷
মোদীকে একের পর এক বাক্যবাণে বিদ্ধ করে মমতা বলেন, ‘আগে থেকে খবর থাকা সত্ত্বেও জওয়ানদের সুরক্ষায় এই সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। নির্বাচন এসে গেছে। আসলে নির্বাচন তো বড় বালাই, তাই এখন মিসাইল দেখাচ্ছে। যুদ্ধ যুদ্ধ খেলছে’। এরপরেই রাফাল ও নোটবন্দী ইস্যু নিয়ে সুর চড়িয়ে বলেন, ‘এখন বলছে রাফালের ফাইল চুরি হয়েছে। কিন্তু আপনি তো দেশটাকেই চুরি করে নিয়েছেন। দেশের অভ্যন্তরীণ তথ্য চুরি হয়েছে। যাঁরা রাফালের ফাইল সামলে রাখতে পারে না, তারা নাকি দেশকে সুরক্ষিত রাখবে, দেশকে সামলাবে! এই সরকার ইতিহাসকে পাল্টে দিয়েছে। যত তাড়াতাড়ি এই সরকার যাবে, মোদি–শাহ জুটি বিদায় নেবে ততই দেশের মঙ্গল’। মমতা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘দেশের আর কোনও আভ্যন্তরীণ ফাইল চুরি যায়নি তো’?
দেশে বেকারত্ব বাড়ছে জানিয়ে মমতা বলেন, ‘আমরা বেকারত্ব কমিয়েছি আর কেন্দ্র ২ কোটি যুবক–যুবতীর চাকরি কেড়ে নিয়েছে’। দেশের সম্পদ, দেশের টাকা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লুঠ করেছেন বলে তোপ দাগেন তিনি। স্লোগান তোলেন, ‘গলি গলি মে শোর হ্যায়, মোদীবাবু চোর হ্যায়।‘ কেন্দ্রে মোদী সরকারকে হঠানোর জন্য নারীদিবসের মঞ্চ থেকে রাজ্যের মহিলাদের শপথ নেওয়ার ডাক দেন তিনি। বলেন, ‘নারীদিবসে বলব মহিলাদের শপথ নিতে। মোদী হঠাও, দেশ বাঁচাও।‘
