মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে উন্নয়নের লড়াইয়ে পাল্লা দিতে না পেরে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বাংলাকে, ভারতবর্ষকে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করার কৌশল নিয়েছে। ঠিক এই ভাষাতেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের তির ছুঁড়লেন যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার গঙ্গাজলঘাটি থানার রাধামাধবপুর ফুটবল মাঠে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের একটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন অভিষেক। সেখানেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে উন্নয়নের লড়াইয়ে পাল্লা দিতে না পেরে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বাংলাকে, ভারতবর্ষকে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করার কৌশল নিয়েছে। আমরা ওদের এই কৌশল কিছুতেই সফল হতে দেব না।’
গতকাল জেলার জল সরবরাহ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের আনুষ্ঠানিক শিলান্যাস করে অভিষেক বলেন, ‘১ হাজার ৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প সম্পূর্ণ হলে ৪টি ব্লক মেজিয়া, গঙ্গাজলঘাটি, ইন্দপুর এবং তালডাংরার মোট ৮ লক্ষ ৭৭ হাজার মানুষ ঘরে বসে নলবাহিত বিশুদ্ধ পানীয় জল পাবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক পরিশ্রম করে বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে এই টাকা সংগ্রহ করে এনেছেন। আমি নিজে এই প্রকল্পটির দিকে নিয়মিত লক্ষ্য রাখব যাতে আগামী দু’ বছরের মধ্যে এই প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হয়।’ উল্লেখ্য, এই জেলার পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ প্রায় শেষের দিকে। ইতিমধ্যে ওই প্রকল্পে জেলার ১৪টি ব্লকের মানুষ ঘরে বসে নলবাহিত পানীয় জল পেতে শুরু করেছেন।
পূর্বতন বাম সরকারের তীব্র সমালোচনা করে তৃণমূলের যুব সভাপতি বলেন, ‘তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার আগে পানীয় জলের ভয়ঙ্কর অবস্থা ছিল এই জেলায়। গ্রীষ্মকাল এলেই মানুষ জল পেতেন না। কৃষিকাজের জন্য তো জলের প্রশ্নই ছিল না। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সংকল্প করেছিলেন যে, যেভাবেই হোক পানীয় জলের এই সঙ্কটের হাত থেকে বাঁকুড়াবাসীকে তিনি বাঁচাবেন। তৃণমূলের আগে ৩৪ বছর ধরে যে সরকারটি এই রাজ্য চালিয়েছে, তারা মানুষকে পান করার সামান্য জলটুকু পর্যন্ত দিতে পারেনি। তখন সরকার ছিল, প্রশাসন ছিল, বিভিন্ন দফতর ছিল, কিন্তু মানুষের উন্নয়নে কোনও কাজ হয়নি।’