বাংলার সাধারণ মানুষদের যে কোন সমস্যার সমাধান করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকলের দিকে সমান নজর থাকে তাঁর। জনগণের জন্যে নানা ধরণের প্রকল্প উপহার দিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে বিপুল সংখ্যক সুবিধাভোগীর কাছে আর্থিক সহায়তা একলপ্তে পৌঁছে দিতে অত্যাধুনিক ব্যবস্থা নিয়েছে অর্থ দপ্তর। এখন থেকে পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ লক্ষ সংখ্যালঘু ছেলেমেয়েদের স্কলারশিপের টাকা সরাসরি পৌঁছে যাবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।
মমতার সরকারের বিবিধ জনমুখী প্রকল্পের সুবিধাভোগীর সংখ্যা কয়েক লক্ষ। সহায়তার অর্থ সংশ্লিষ্টদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি জমা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বুধবার অর্থ দফতরের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে [১৪৮৬-এফ(ওয়াই) জানানো হয়েছে এখন থেকে পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ লক্ষ সংখ্যালঘু ছেলেমেয়েদের স্কলারশিপের টাকা সরাসরি পৌঁছে যাবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। সেভাবেই সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত মাধ্যমিক স্কুল, পঞ্চায়েত এবং লোকাল বডির অধীনস্থ স্কুলের কর্মীরাও এই সুবিধা পাবেন। এর ফলে সুবিধাভোগী ও কর্মীদের কাছে আর্থিক সহায়তা এবং বেতন দ্রুত পৌঁছে যাবে।
এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের (ডব্লুবিএমডিএফসি) ম্যানেজিং ডিরেক্টর মৃগাঙ্গ বিশ্বাস বলেন, রাজ্যজুড়ে সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের জন্য ট্যালেন্ট সাপোর্ট প্রোগ্রাম চলে। যেখানে একাদশ শ্রেণী থেকে পিএইচডি পর্যন্ত ৫০ শতাংশের কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়। গত অর্থবর্ষে পশ্চিমঙ্গের প্রায় দু’লক্ষের বেশি সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীকে এই স্কলারশিপ দেওয়া হয়েছে। মৃগাঙ্গবাবুর কথায়, অর্থ দফতরের সহায়তায় এই পোর্টাল সংযুক্তিকরণের কাজ শেষ করা হয়েছে। এর ফলে লক্ষ লক্ষ পড়ুয়া সরাসরি উপকৃত হবেন। আগামীদিনে এই আর্থিক সাহায্য একলপ্তে আরও বেশি আবেদনকারীর কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।
বাংলায় পালাবদলের পর অর্থ দফতরে কার্যত বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে। বিবিধ প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা আমদানি করা হয়েছে। ফলে রাজকোষ থেকে টাকা বরাদ্দ এবং খরচ করার ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় নজরদারি ব্যবস্থাপনা তৈরি করা হয়েছে। অতীতে হাতে-কলমে ব্যবস্থায় টাকা নয়ছয়ের বিস্তর অভিযোগ উঠত, বর্তমানে তা নেই। আগে সরকারি অনুদান দেওয়ার প্রকল্পে লক্ষ লক্ষ সুবিধাভোগীর অ্যাকাউন্টে একলপ্তে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত বাধার সম্মুখীন হতে হতো। নয়া ব্যবস্থায় আইএমএফএসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের ইলেক্ট্রনিক সংযুক্তিকরণ করা হচ্ছে। যার জেরে এক ক্লিকে চোখের নিমেষে বিপুল সংখ্যক সুবিধাভোগীদের ব্যাঙ্কের খাতায় সরাসরি টাকা চলে যাবে।