বিগত ৫ বছরের মোদী জমানায় যেখানে ক্রমশই বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পেয়েছে, সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কল্যাণে বাংলায় তৈরি হয়েছে বিপুল কর্মসংস্থান। সম্প্রতি সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনোমি প্রকাশিত এক রিপোর্টে জানা গেছে ২০১৯-এর ফেব্রুয়ারিতে ভারতের বেকারত্ব বেড়েছে ৭.২ শতাংশ। কিন্তু এরই উল্টো ছবি ধরা পড়েছে বাংলায়। বিগত কয়েক বছরে বেকারত্ব দূরীকরণে বাংলায় একের পর এক প্রকল্পের সূচনা করেছেন মমতা। যার ফলে কমেছে ৪০ শতাংশ বেকারত্ব।
আজ, বুধবারও হাওড়ার আরুপাড়ায় রাজ্যের যুব প্রজন্মের জন্য ‘যুবশ্রী অর্পণ’ নামে একটি নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, এই প্রকল্পের মাধ্যমে মাধ্যমে ৫০,০০০ ছেলেমেয়েকে ব্যবসার জন্য ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতর থেকেই এই টাকা দেওয়া হবে তাঁদের। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যখন নোটবন্দী হয়েছিল, আমিই প্রথম বলেছিলাম এই নোটবন্দী দেশের জন্য খারাপ। নোটবন্দীর ফলে ২ কোটি ছেলেমেয়ে চাকরি হারিয়েছে। দেশে ১২ হাজার কৃষক আত্মহত্যা করেছেন।’
এদিনও কর্মসংস্থান নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘বাংলায় বেকারত্ব ৪০ শতাংশ কমিয়েছি, পার্লামেন্টে রেকর্ড আছে। বাংলা কর্মসংস্থান তৈরীতে সেরা। ১০০ দিনের কাজে আমরা যা কর্মসংস্থান করেছি, আমরা পর পর চার বছর দেশে এক নম্বর। দক্ষতা উন্নয়নেও আমরা এক নম্বর। উৎকর্ষ বাংলার মাধ্যমে ৬ লক্ষ ছেলে মেয়েকে আমরা প্রশিক্ষণ দিই।’ আজ রাজ্যের প্রথম হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তরও স্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এর পাশাপাশি আজ মুখ্যমন্ত্রী আজ এ-ও বলেন, ‘আপনি আচরি ধর্ম, পরেরে শেখাও। ৫ বছর পার হয়ে গেছে। এই সরকারের এক্সপায়ারি ডেট ওভার হয়ে গেছে। এক্সপায়ার করে গেলে সেই ওষুধ আমরা চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করি না।’