রাফাল চুক্তি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল দুর্নীতি বিরোধী শর্ত। এমনকি চুক্তির ১০ দিন আগে থেকেই অনিল আম্বানি জানতেন, রাফালের বরাত পাচ্ছেন তিনিই। এমনই নানা অভিযোগ তুলে যখন রাফাল চুক্তিতে দুর্নীতি হয়েছে বলে সরব বিরোধীরা, তখনই সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র জানাল, রাফাল চুক্তির সব নথি চুরি হয়ে গিয়েছে৷ এবং সেইসঙ্গে রাফাল নিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজের আবেদনও জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল৷ তিনিই জানান যে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে রাফাল নথি চুরি গেছে।এবং তার খোঁজে গোপনীয়তা আইনে তদন্ত চলছে৷
প্রসঙ্গত, গত ১৪ ডিসেম্বর রাফাল মামলায় শীর্ষ আদালত রায় দেয় রাফাল যুদ্ধ বিমান কেনা নিয়ে কোনও প্রশ্ন ওঠার জায়গা নেই। কোনও তদন্তের প্রয়োজন নেই রাফাল নিয়ে কারণ কোনও দুর্নীতিই হয়নি এই চুক্তিতে। আদালতের এই রায়ের প্রেক্ষিতে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে শীর্ষ আদালতে পিটিশন দায়ের করেন যশবন্ত সিনহা, অরুণ সৌরি ও আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। সেই মামলার শুনানিতে বুধবার অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, রাফালের সমস্ত নথি চুরি হয়েছে। মনে করা হচ্ছে সেটা করেছে কোনও সরকারি অফিসারই। এবং রাফালের সমস্ত নথি চুরি করে পাঠানো হয়েছে দ্য হিন্দু সংবাদ মাধ্যমকে। তিনি এটাও জানিয়ে রাখেন রাফালের নথি চুরির প্রেক্ষিতে গোপনীয়তা আইনে তদন্ত চলছে।
উল্লেখ্য, রাফাল নিয়ে রাজনৈতিক ডামাডোল চলছে বহুদিন ধরেই। শুরু থেকেই বিরোধীদের অভিযোগ, রাফাল নিয়ে চূড়ান্ত দুর্নীতি করেছে মোদী সরকার। ‘বন্ধু’ অনিল আম্বানিকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য মানুষের টাকা চুরি করা হয়েছে। এ বিষয়ে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী প্রশ্ন তোলেন, ১২৬ টি বিমানের যে চুক্তি ছিল তা হঠিয়ে কেন ৩৬ টি বিমান কেনা হল? কেন হ্যালকে সরিয়ে রাফালের বরাত দেওয়া হল অনিল আম্বানির সংস্থাকে। চুক্তির আগে যে কোম্পানির বাস্তবে কোনও অস্তিত্বই ছিল না। বিমানের দাম যা ছিল ইউপিএ আমলে তা হঠাৎ এত বাড়িয়ে দেওয়া হল কেন?
যদিও সে প্রশ্নের কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। এরইমাঝে শীর্ষ আদালতে কেন্দ্রের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল চুরি গিয়েছে রাফাল তথ্য। এদিন শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চে। রয়েছেন বিচারপতি সঞ্জয় কউল ও কেএম জোসেফ।