মঙ্গলবার নাগপুরে শাপমুক্তি ঘটল বিজয় শঙ্করের। একটা প্রায় অবিশ্বাস্য শেষ ওভার করে ম্যাচ জিতিয়ে দিলেন ভারতকে। শুধু তাই নয়, বিশ্বকাপের টিকিটটাও সম্ভবত হাতে পেয়ে গেলেন তামিলনাড়ুর এই ক্রিকেটার। যিনি অস্ট্রেলীয় ইনিংসের দশ নম্বর ওভার করতে এসে ১৩ রান দেওয়ার পরে আর বল পাননি, যাঁকে নিয়ে বিশেষজ্ঞ ক্রিকেটারেরা বারবার বলছেন, বোলিংটা একে দিয়ে হবে না তাঁকেই কোহালি বল তুলে দিলেন যখন জয়ের জন্য শেষ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল ১১, ব্যাট করছেন জমে যাওয়া মার্কাস স্টোয়নিস। জ়াম্পার স্টাম্পটা ছিটকে যাওয়া মাত্রই দু’হাত শূন্যে তুলে আকাশের দিকে তাকিয়ে রইলেন বিজয়। হয়তো বা বলতে চাইলেন, দেখো, আমিও পারি। প্রথম বলে স্টোয়নিস আর তৃতীয় বলে জ়াম্পা। ভারতের জয় আট রানে। নাগপুরে ক্রিকেট রূপকথা এ ভাবেই লেখা হল।
শেষ ওভারে বল করার চাপ কিভাবে সামলালেন বিজয়? তিনি জানালেন, “‘‘আমি মানসিক ভাবে তৈরি ছিলাম চ্যালেঞ্জ নিতে। ৪৩-৪৪ ওভার থেকেই নিজেকে বলছিলাম, আমাকে যে কোনও সময় বল করতে হবে। তাই মানসিক প্রস্তুতিটা ছিল। ধরে নিয়েছিলাম, শেষ ওভারে ১২-১৫ রান হাতে নিয়ে বল করতে হবে।’’ শেষ ওভার করার আগে তিনি যে বুমরার পরামর্শও পেয়েছিলেন, তা বলছেন বিজয়। ‘‘বুমরা আমাকে এসে বলে, রিভার্স সুইং হচ্ছে। আমি তাই চেষ্টা করেছিলাম, স্টাম্প টু স্টাম্প বল করতে। আমি কোনও রকম চাপে ছিলাম না। ওদের আট উইকেট পড়ে গিয়েছিল। তাই জানতাম, আমাদেরও জেতার সুযোগ আছে।’’
নিদাহাস ট্রফির ফাইনাল তাঁর জীবন অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছিল। যার পরে তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, কোনও কিছুতেই জীবনকে আর প্রভাবিত হতে দেবেন না। দাঁতে দাঁত চেপে নিজের সবটুকু দিয়ে পরিশ্রম করে গেছেন অপেক্ষা করেছেন সুযোগের। কাল নাগপুরে বিজয় দেখিয়ে দিলেন, “এভাবেও ফিরে আসা যায়”।