শ্রীনগর-জম্মু জাতীয় সড়ক থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরের একটি ছোট্ট গ্রাম আচান। সেখানেই ধর্ম জাতিকে দূরে রেখে কাশ্মীরের মুসলিম ও হিন্দু পন্ডিতেরা মিলেমিশে একটি মন্দির পূননির্মাণের কাজ চালাচ্ছিল। পুলওয়ামার ঘটনায় ব্যহত হয় এই মন্দির তৈরির কাজ। কিন্তু বর্তমান সময়ে হিন্দু-মুসলিম সংঘাতময় পরিস্থিতিতে এই ঐক্যের ছবি এক নজিরবিহীন ঘটনা।
অন্যদিকে এই মন্দিরের কাছেই অবস্থিত জামিয়া মসজিদ। এই হিন্দু মন্দির পুননির্মাণে যুক্ত কাশ্মীরিদের বক্তব্য, তাঁরা মসজিদের আজান ও মন্দিরের ঘন্টার আওয়াজ একসঙ্গে শুনতে চান। উপত্যকার এক বাসিন্দা ভূষণ লাল জানান, তাঁদের প্রতিবেশী প্রত্যেক মুসলমানরাই এই মন্দিরের সংস্কারে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এই অঞ্চলের মুসলমানেরা হিন্দু ধর্মকে শ্রদ্ধা করেন।
মহাশিবরাত্রির শুভ দিনে এই মন্দিরে পুজো দেওয়ার রীতি ৮০ বছরের ও পুরোনো। এই কাশ্মীরের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা ঐতিহ্যবাহী কাশ্মীরি কেহয়া চা দিয়ে মন্দিরে পুজো করেন। কাশ্মীরের বাসিন্দা মহম্মদ ইউসুন জানান, ধর্ম নিয়ে ভেদাভেদ নেই তাঁদের মধ্যে। আজ থেকে ঠিক ত্রিশ বছর আগে এখানে একই সঙ্গে মন্দিরের ঘন্টা এবং মসজিতে আজান দেওয়া হত। সেই দিন টাই আবার ফিরে পেতে উদগ্রীব আচান গ্রামের বাসিন্দারা। কাশ্মীরের মত উত্তপ্ত জায়গায় ধর্মীয় সম্প্রীতির এহেন উদাহরণ এক আলাদা দৃষ্টান্ত গড়ে তুলল।